বিশ্ব বাজারে তেলের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যেতে পারে বলে এ বার হুঁশিয়ারি দিলেন খোদ সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। সৌদির তেল ভাণ্ডারে ড্রোন হামলায় ইরানের দিকে আঙুল উঠেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে এক জোট হতে গোটা বিশ্বকে আহ্বান জানিয়েছেন মহম্মদ বিন সলমন। তাঁর কথায়, ইরানকে রুখতে গোটা বিশ্বকে একজোট হতে হবে। নইলে সকলের স্বার্থেই আঘাত লাগবে। ঘাটতি দেখা দেবে তেল সরবরাহে। তাতে তেলের দাম অকল্পনীয় হারে বৃদ্ধি পাবে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরবের আরামকো তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা হয়। তাতে গোটা বিশ্বে তেল সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এ ব্যাপারে এই প্রথম কোনও মন্তব্য করলেন মহম্মদ বিন সলমন। মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিবিএস-এর ‘সিক্সটি মিনিটস্’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘‘একজোট হয়ে ইরানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না করলে, তেলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। তাতে সকলের স্বার্থে আঘাত লাগবে। ঘাটতি দেখা দেবে তেল সরবরাহে। অকল্পনীয় হারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে এমন জায়গায় পৌঁছবে, যা এ জীবনে আগে কখনও দেখতে হয়নি আমাদের।’’
আরামকোয় হামলার জন্য শুরু থেকেই ইরানকে দায়ী করে আসছে সৌদি আরব এবং মার্কিন সরকার। এমনকি আরামকোয় ওই হামলা যুদ্ধ বই আর কিছু নয় বলে মন্তব্যও করেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়ো। এ ব্যাপারে তিনি পম্পেয়োর সঙ্গে একমত বলে জানান যুবরাজ বিন সলমন। ইরান বোকার মতো আচরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তবে সামরিক শক্তির সাহায্যে ইরানকে রোখার চেয়ে, রাজনৈতিক উপায়ে, শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তি হওয়া উচিত বলে মত তাঁর। বিন সলমনের দাবি, ‘‘প্রত্যাঘাত করতে গেলে গোটা বিশ্বের অর্থনীতিতে তার প্রভাব পড়বে। কারণ ওই অঞ্চল থেকে গোটা বিশ্বের ৩০ শতাংশ শক্তি সরবরাহ হয়। ২০ শতাংশ বিশ্ব বাণিজ্য এবং ৪ শতাংশ জিডিপিও ওই অঞ্চলের উপর নির্ভরশীল। যুদ্ধ শুরু হলে এ সব ব্যাহত হবে। তাতে শুধুমাত্র সৌদি আরব বা পশ্চিম এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়বে।’’