বনজীবীদের ফেলে আসা আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত। বন বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সুন্দরবনে গত দুই দশকে যেসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, এর সব কটি ঘটনাই ঘটেছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগে সুন্দরবনের ভোলা ও মরা ভোলা নদীসংলগ্ন এলাকায়।
সুন্দরবনের নদী–খালে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে না আনলে এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড থেকে সুন্দরবনকে রক্ষা করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু নাসের মোহসিন হোসেনের কাছে। তিনি বলেন, ওখানকার ভোলা, মরা ভোলা নদী পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। সেখানে জোয়ার-ভাটা হয় না। সেটা বড় কারণ। সেখানে সেপ্টেম্বর মাস থেকে বনে পানি ঢোকা বন্ধ হয়ে যায় আর এপ্রিল-মে মাসের তাপপ্রবাহের কারণে ওই জায়গাগুলো আরও শুষ্ক হয়ে থাকে। এখন পরিকল্পিতভাবে নদী খনন করাটা সবচেয়ে জরুরি। আবার নদী মরে যাওয়ায় ওই সব গ্রামের মহিষ সুন্দরবনের মধ্যে চলে যায়। রাখালেরা ধূমপান করেন। এসব অসাবধানতার কারণে আগুন ধরে।