দেখতে দেখতে সাকিব আল হাসানের নিষেধাজ্ঞার এক বছর পূর্ণ হলো। আজ থেকে সব ধরনের ক্রিকেটে খেলতে পারবেন তিনি। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার নভেম্বরে টি২০ টুর্নামেন্ট দিয়ে ফিরবেন প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে। সাকিবের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় স্বস্তি ফিরছে দেশের ক্রিকেটে। এ দুই বছরের মধ্যে এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা। মূলত নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে এক বছর। ভারতীয় জুয়াড়ি দীপক আগারওয়ালের কাছ থেকে তিনবার ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার ঘটনা আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগকে (এসিইউ) না জানানোয় এই শাস্তি পান সাকিব।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে দু’বার ও এপ্রিলে আইপিএল ম্যাচের আগে হোয়াটসঅ্যাপে আগারওয়ালের বার্তা পান সাকিব। ১৯ জানুয়ারি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আর ২৩ জানুয়ারি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে ম্যাচের আগে এ ঘটনা ঘটে। একই বছর ২৬ এপ্রিল আইপিএলে একটি ম্যাচের আগেও আগারওয়ালের কাছ থেকে বার্তা পান তিনি। অথচ আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাননি। এসিইউ কর্মকর্তাদের তদন্তে বিষয়টি বেরিয়ে আসার পর ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ও ২৭ আগস্ট সাকিবের সাক্ষাৎকার নেন তারা। তাদের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে এসিইউর তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সাকিব। এতে তার শাস্তিও কম করে দেয় আইসিসি অ্যান্টিকরাপশন ট্রাইব্যুনাল।

আজ থেকে মুক্ত হচ্ছেন সাকিব
গত এক বছরে সাকিবকে ছাড়া খেলা জাতীয় দলের পারফরম্যান্স ভালো হয়নি। চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলে তিনটিতেই ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে ভারতের বিপক্ষে একটি টি২০ জিতলেও টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারেননি মুমিনুলরা। এ বছর পাকিস্তান সফরে টি২০ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হন মাহমুদুল্লাহরা। তবে ফেব্রুয়ারি-মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হোম সিরিজে তিন সংস্করণেই জিতেছে বাংলাদেশ। সাকিবের প্রত্যাবর্তনে জাতীয় দল নিয়েও নতুন করে পরিকল্পনা করতে পারবে বিসিবি।