প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে ‘অশনি’। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে থাকা অশনি গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
অশনির গতিপথ ভারতের ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের দিকে থাকলেও আজ মঙ্গলবার তা কিছুটা দিক পরিবর্তন করতে পারে। তবে এরই মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।
‘ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান গতিপথ ওড়িশা ও অন্ধ্র প্রদেশের দিকে রয়েছে। তবে মঙ্গলবার এর গতিপথ কিছুটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এ অবস্থায়ও উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারি বর্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশেই কমবেশি বৃষ্টি হবে। আবার ঘূর্ণিঝড়টি ভূমিতে আসার আগেই নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আমরা সব সময়ই এর গতিপথ পর্যবেক্ষণ করছি। ’
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গতকাল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
এদিকে ভারি বর্ষণের সতর্কবার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, চুয়াডাঙ্গাসহ বেশ কিছু জেলায় গতকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। অনেক এলাকার জেলেরা এখনো তীরে ফেরেনি বলে জানা গেছে।