রাশিয়া বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা এসেছিলো মেসির হাত ধরেই। তিনিই ছিলেন দলের প্রাণভোমরা। তব্যে প্রত্যাশা অনুযায়ী গোলের দেখা পাননি তিনি। বিশ্বকাপ থেকে তাকে ফিরতে হয়েছে মাত্র একটি গোল নিয়ে। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টিও মিস করেন বার্সেলোনার এই ফরোয়ার্ড।
আর্জেন্টাইন রক্ষণে প্রায় সকলের বয়স তিরিশের ওপর। নিকোলাস ওটামেন্ডির বয়স প্রায় ৩১ বছর। সে রকম বিশ্বসেরা ডিফেন্ডার না হলেও গত মৌসুমে পেপ গার্দিওলা এই ওটামেন্ডির ভেতর থেকেই সেরাটা বের করে আনতে পেরেছিলেন। কথাটা সেখানেই। ওটামেন্ডির সেরাটা দেখার জন্য সাম্পাওলিকেও হতে হতো গার্দিওলা; অর্থাৎ একটা নির্দিষ্ট দর্শনের বা স্টাইলের ওপর বিশ্বাসী হতে হত। দুর্ভাগ্যবশত গোটা বিশ্বকাপেই সাম্পাওলি দলের জন্য সবচেয়ে সেরা কম্বিনেশন কিংবা কৌশলটা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার পেছনে নিজের পাশাপাশি খেলোয়াড়দেরও কিছু দায় দেখছেন সাম্পাওলি। তার ভাষ্য হচ্ছে, খেলোয়াড়দের পরিষ্কার ধারণা ছিল না যে তারা কি করছে। অবশ্য এখনই এসব নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাননি কোচ। শেষ ম্যাচে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে নকআউট পর্বে ওঠার মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছিল দলটি। তবে তাদের সেই পথ চলাটাও দীর্ঘ হয়নি।