প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন ভেষজ উদ্ভিদ অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর গুনের কোনো সীমা পরিসীমা নেই।
অ্যালোভেরার ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরায় মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিডসহ নানা পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা হাড় ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে।
দেহে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ওষুধের কাজ করে। বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায় এটি। অনেক সময় প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরার জুস ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে।
নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে হজম শক্তি বাড়ে। পরিপাক তন্ত্রের নানা জটিলতা সারাতেও সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় অ্যালোভেরা। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
ওজন কমাতে অ্যালোভেরার জুস অনেক বেশি কার্যকরী। অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরের জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরার রসালো পাতার ভেতরে থাকা স্বচ্ছ জেলটিই আসলে উপকারী। এতে থাকে প্রচুর এ, বি, সি এবং ই ভিটামিন, যা ত্বকের জন্য ভালো। এ ছাড়া এতে অনেক প্রোটিন থাকে বলে তা স্বাস্থ্যের উপকারে আসে।
১) অ্যালোভেরায় থাকা প্রোটিন একদিকে যেমন পেশী গঠনে কাজে আসে, তেমনি ক্ষুধা কম রাখার মাধ্যমে ওজন কমাতে কাজে আসে।
২) অ্যালোভেরায় কোনো ফ্যাট নেই। এর ৯৬ শতাংশই পানি! এতে ভিটামিন বি আছে বেশি পরিমাণে, যা মেদ দূর করতে ও ক্যালোরি পোড়াতে সহায়তা করে।
৩) শরীরের ভিটামিন ও খনিজ শোষণের ক্ষমতা বাড়ায় অ্যালোভেরা। এতে ওজন কমার পাশাপাশি সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৪) অ্যালোভেরা হজমে সাহায্য করে। তা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতেও কাজে আসে। হজম সঠিকভাবে হওয়ার কারণে ওজন বাড়ে।