করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে শহর এলাকায় পশুর হাট বসানোর অনুমতি না দেওয়ার সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছেন অনেক খামারি ।
গত দোসরা জুলাই থেকে জেলাভিত্তিক অ্যাপ, ফেসবুক পাতা ও বিভিন্ন অনলাইন সাইটের মাধ্যমে পশু বিক্রি শুরুর উদ্যোগ নেয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
আর চৌঠা জুলাই ডিজিটাল হাট নামে আরেকটি প্ল্যাটফর্মও উদ্বোধন করা হয়।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, দোসরা জুলাই থেকে গত তেরোই জুলাই পর্যন্ত এক লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৬টি পশু বিক্রি হয়েছে। এগুলোর মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ রয়েছে।এখানে গরুর বয়স,উচ্চতা,গরুর ছবি, আনুসাঙ্গিক যা যা তথ্য লাগে সব কিছু দেওয়া থাকে ।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জিনাত সুলতানা বলেন, গত সপ্তাহ খানেক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পশু বিক্রি হয়েছে। এর আগে বিক্রি খুব বেশি ছিল না।
ঈদ ঘনিয়ে আসার কারণেই গত কয়েক দিনে বিক্রি বেড়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। এছাড়া সম্প্রতি সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়াও অনলাইনে পশু বিক্রির কারণ বলে উল্লেখ করা হয়।বুধবার রাতে পরামর্শক কমিটির সভায় এই সুপারিশ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শারীরিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে উন্মুক্ত জায়গায় কোরবানির পশুর হাট বসানোর অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। তবে সেটা হতে হবে শহর এলাকার বাইরে। হাটে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য আলাদা পথ রাখতে হবে।