অধ্যাপক ড. আবু আহমেদ : চালের ঘাটতি পড়তে তো অতীতেও দেখা গেছে। এরকম ঘটনা আমরা বহু দেখেছি। যখন ঘাটতি পড়ে তখনই আড়ৎদার, চাল মালিকেরা চালের মজুদ করে রাখে। কারণ তারা বাজারের সুযোগ নিতে চায়। আবার যারা চাল আমদানি করছে তারাও দেখে যে দেশে বন্যার মতো কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে কিনা। কারণ তারা সুযোগ গ্রহণ করতে চায়। এখন কথা হলো আমাদের মার্কেটটা তো এতটা স্বচ্ছ না। যখনই দুষ্প্রাপ্যতা দেখা দেয় তখনই নাই নাই বলে বাজারে দাম বেড়ে দেয়। এটার জন্য অনেক সমাধান রয়েছে। সরকার ব্যাপকভাবে যদি ওপেন মার্কেট বৃদ্ধি করে, ফিক্স প্রাইজ দিয়ে বা মার্কেটের চেয়ে ১০-১৫ টাকা কম দিয়ে বাজারে চাল বিক্রি করতে পারে তাহলে কিছুটা বাজারে চালের দাম কমতে পারে। সরকার টিসিবির মাধ্যমে বা সরকার অন্য কোনো উপায়ে বা মজুদ যা বা আরও কিছু চাল আমদানি করে। যে দামে আমদানি করল সে দামে যদি বিক্রি করতে পারে, এটা হয়তো একমাসে বিক্রি করলে হবে না, এই কাজটা আরেকটা মৌসুম ওঠা না পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে। তাহলে ওরা যদি এ বিষয়ে একটা মেসেজ পায় তাহলে মজুদদার যারা তারা ভাববে সরকার তো চালের দাম কমিয়ে বিক্রি করছে। তখন তারা আবার চাল বিক্রি শুরু করবে। কেননা বেশিদিন চালের মজুদ করে রাখলে তাদেরও ব্যবসার ক্ষতি হবে এটা তারা বুঝে। সরকার বিভিন্ন বড় শহরগুলোতে বাজারের দামের চেয়ে ১০-১৫ টাকা কম দামে বিক্রি করল খরচ ঠিক রেখে।
পরিচিতি: অর্থনীতিবিদ
