ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার অর্থ ব্যাংকে পরিশোধের পাশাপাশি এখন থেকে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে জরিমানার অর্থ ঘটনাস্থলেই পরিশোধ করা যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, এখন থেকে রেকারিং ও প্রসিকিউশনে কোনো নগদ টাকায় জরিমানা পরিশোধ বা লেনদেন হবে না।
রোববার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল রাজমনি ক্রসিংয়ে ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা আদায় কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, “ট্রাফিক কার্যক্রমকে ডিজিটালাইজেশন করা আমাদের স্বপ্ন ছিল। আগে কাগজে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা করলেও এখন পিওএস মেশিনে প্রসিকিউশন দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগরীতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করলে ই-প্রসিকিউশন দেওয়া হচ্ছে। মামলা দেওয়ার সময় গাড়ির চালক বা গাড়ির ডকুমেন্ট রেখে ডিজিটাল প্রিন্টেড কেস স্লিপ দেওয়া হয়। ওই কেস স্লিপের জরিমানা ব্যাংকে পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিসে গিয়ে জব্দকৃত ডকুমেন্ট ফেরত নিতে হতো, যা ছিলো অনেক কষ্টসাধ্য ও সময়ের ব্যাপার। এখন থেকে এই কষ্টকর ও সময় সাপেক্ষ কাজের অবসান হলো।”
কমিশনার আরও বলেন, “আজ থেকে ট্রাফিক ই-প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা ঘটনাস্থলে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করা যাবে। এতে গাড়ির চালক ও গাড়ির কোনো ভ্যালিড ডকুমেন্ট জব্দ করার প্রয়োজন নেই। ইউক্যাশ, বিকাশ, রকেটসহ যে কোনো মোবাইল ব্যাংকিং ও ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে ট্রাফিকের জরিমানার টাকা অন দ্য স্পট পরিশোধ করা যাবে।”
“ঢাকা মহানগরীতে গাড়ি রেকারিংয়ে নগদ টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। এখন থেকে রেকারিং ও প্রসিকিউশনে কোনো নগদ টাকায় জরিমানা পরিশোধ বা লেনদেন হবে না। আমরা নগরবাসীর সহযোগিতা চাই। আমরা যেভাবে আপনাদের কষ্ট ও সময় লাঘব করার জন্য কাজ করছি, ঠিক তেমনি নাগরিক হিসেবে আপনারাও দায়িত্ব নিয়ে ট্রাফিক আইন মেনে চলুন। আইন মেনে চললে ট্রাফিকের কাজটা সহজ হবে।”
এসময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও এই প্রকল্পের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউসিবিএল, আইটিসিএল ও বাংলালিংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিল বলে জানিয়েছে ডিএমপি নিউজ।