ডিসেম্বরের ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি যখন হতে পারে ঠিক সে সময় অথবা কিছু আগে ও পরে চাঁদের পূর্ণিমা অবস্থা থাকবে। ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ণিমার রাতে অথবা দিনে হলে পূর্ণিমার টান ও ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি মিলিত হয়ে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা বাড়িয়ে দিতে পারে।
সাধারণত ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড় হয় না, কিন্তু এ বছর ব্যতিক্রম। চলতি বছর নভেম্বরের ২২ তারিখে একটি নিম্নচাপ দুর্বল হয়েছে। প্রতি বছরই নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষ পর্যন্ত একটি ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের শেষ দিন যে নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে গেল তাতে বঙ্গোপসাগরে আরো কিছু শক্তি রয়ে গেছে। সেই শক্তিই জমতে জমতে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানান কানাডার সাসকাচোয়ান ইউনিভার্সিটির আবহাওয়া গবেষক মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, এবার ডিসেম্বরটি হতে যাচ্ছে ব্যতিক্রমী। শান্ত বঙ্গোপসাগর দ্বিতীয় সপ্তাহে বিক্ষুব্ধ থাকতে পারে।
পূর্বাভাসে ডিসেম্বরের ৪ থেকে ৬ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টির সম্ভাবনা নির্দেশ করছে। এই দুই মডেল পূর্বাভাসে, ৬ ডিসেম্বর সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপের কাছে অবস্থান নির্দেশ করেছে। এর দুই দিন আগের আমেরিকান মডেলের পূর্বাভাস যদিও ৭ ডিসেম্বরের পরে লঘুচাপ সৃষ্টির কথা বলেছিল।