বাংলাদেশে পৌনে তিন কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। দেশে জনসংখ্যার ৪৩ শতাংশই শিশু এবং এদের মধ্যে সাড়ে ৬ শতাংশই কিডনি সমস্যায় ভুগছে। এছাড়া দেশের ৭০ ভাগ মানুষ জানেন না তারা কিডনি রোগে আক্রান্ত।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মুহূর্তে দেশে প্রায় আড়াই থেকে পৌনে তিন কোটি মানুষ কিডনি রোগে ভুগছেন। এদের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৯-১০ লাখ। প্রতিবছর আবার প্রায় দুই লাখ নতুন রোগী যোগ হচ্ছে। চিকিৎসা ব্যয় বেশি হওয়ায় ৯০ ভাগ রোগীই তা বহন করতে পারছে না। বছরে ৪০ হাজারের বেশি এ রোগী বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। এর বিস্তার যে কেবল বাংলাদেশেই তা নয়।
কিডনি ইন্সটিটিউট হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলছেন, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল রাজধানীর শেরে বাংলানগরে ১১৬ শয্যার জাতীয় কিডনি অ্যান্ড ইউরোলজি ইন্সটিটিউট উদ্বোধন হয়। ২০০১ সালে ৩১ মে পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ২০১১ সালের ৯ এপ্রিল প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন হয়। এরপর ২০১৫ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ জন রোগীর দেহে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইসিইউ সচল না থাকা, ডিজিটাল এক্সরে মেশিন অকেজো হওয়া, রোগীদের এনজিওগ্রাম ও টিস্যু টাইপিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এর কার্যক্রম। সম্প্রতি নতুন করে সেবাটি চালু হয়েছে। গত এক বছরে মাত্র তিনজনের কিডনি স্থাপন করা হয়েছে।