সকাল থেকেই ঢাকায় পণ্যবাহী ট্রাক, লরিসহ এ জাতীয় গাড়ি ঢুকতে ও বেরোতে বাধা দেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। কোথাও কোথাও সড়ক অবরোধ করে পরিবহন শ্রমিকদের বাধ্য করা হয় আন্দোলনে নামতে। এ সময়ে লাইসেন্সবিহীন চালকের মুখে ইঞ্জিনের পোড়া তেল মাখিয়ে দেয়ার ঘটনাও ঘটে। ভাংচুর করা হয় যাত্রী ও পণ্যবাহী গাড়ি।
ঢাকা ও আশপাশের জেলায় পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে। ঢাকা বিভাগে রোববার সকাল থেকে শুরু হওয়া পরিবহন ধর্মঘটের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সড়ক আইন সংশোধনসহ সাত দফা দাবিতে পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। পরিবহন ধর্মঘট দীর্ঘ হলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে আজ থেকে মাঠে নামার কথা জানিয়েছে আরেক সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
এর আগে দুপুরে শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনার মামলা অজামিনযোগ্য ও ৫ লাখ টাকার জরিমানার বিধান নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।’ তবে এ ধর্মঘটে তার সমর্থন আছে কিনা- এ প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করতে আন্দোলনকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।