আজ বৃহস্পতিবার যশোরে আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক প্রস্তুতি ও কর্মযজ্ঞ ইতোমধ্যে শেষ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা ও প্রশাসন। দলীয় ফোরামে এবং প্রশাসনে চলছে এখন শেষ সময়ের সর্বোচ্চ সতর্কতা।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা (২৪ নভেম্বর) দুপুর ২টায় যশোরের শামস উল হুদা স্টেডিয়ামে ঐতিহাসিক জনসভায় ভাষণ দেবেন। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণবঙ্গে আগমনে নতুন কিছুর আশায় বুক বেঁধেছেন যশোরবাসী। দক্ষিণবঙ্গের বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা ও কালনা সেতু নির্মাণে তাকে কৃতজ্ঞতা জানাতে প্রস্তুত গোটা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। সকল প্রচার-প্রচারণা ও প্রস্তুতি গতকাল বুধবার রাতেই শেষ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে যশোর ৫০০ শয্যা মেডিকেল কলেজে হাসপাতাল নির্মাণ, যশোর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিককীরণ, ভবদহ জলাবদ্ধতা দূর ও যশোরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণাসহ নানা দাবিতে মুখর স্থানীয়রা।
যশোরের সর্বস্তরের মানুষের দাবি, স্বপ্নের পদ্মা সেতু ও কালনায় মধুমতি সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এর ফলে যশোরসহ এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক, সামাজিক অবস্থা এবং মানুষের জীবনযাত্রায় উন্নয়ন ঘটেছে। এ উন্নয়ন ও দিন বদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে এবং তার মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যশোরবাসীর দীর্ঘদিনের বাকি চাওয়া-পাওয়া পূরণ করবেন, এমন প্রত্যাশাই এই অঞ্চলবাসীর।