আজ ১৪ মার্চ, আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস। ১৯৯৮ সাল থেকে বিশ্বের অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন নদ-নদীকে বাঁচানোর অঙ্গীকার নিয়ে দিবসটি পালন করছে। দিবসটিকে সামনে রেখে নদী রক্ষায় সরকারের নেওয়া মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন পরিবেশবিদসহ নদী ও নৌ পরিবহন বিষয়ক গবেষকরা।
নদীকৃত্য শব্দের অর্থ হলো নদী রক্ষায় করণীয়।
বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে নদ-নদী সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও নদীভাবনা সৃষ্টি করতে একটি বেসরকারি সংগঠন সর্বপ্রথম ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস পালন করে।
নদী ও নৌ পরিবহন বিষয়ক গবেষকরা বলছেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে সচল নদীগুলোকে যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা যেমন জরুরি, তেমন বিলুপ্ত সকল নদ-নদীকে উদ্ধার ও খননের মাধ্যমে প্রবহমান করাও আবশ্যক। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা রয়েছে।
নদী রক্ষায় সরকারের নেওয়া মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে ওয়াটার কিপার বাংলাদেশের কর্মকর্তা মো. নূর আলম বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবসহ নানা কারণে দেশের নদ-নদীর অস্তিত্ব হুমকির মুখে। অথচ দেশের মধ্যে পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ নৌপথ ও নৌ যোগাযোগের গুরুত্ব অপরিসীম।