বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর খাসকামরায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মাসুম বিল্লাহ। জবানবন্দিতে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
আসামি মাসুম বিল্লাহ আদালতকে বলেছে, ‘জাবালে নূরের তিনটি গাড়ি রেষারেষি করে মিরপুর থেকে কালশী ফ্লাইওভার হয়ে বিমানবন্দর সড়কে ঢুকছিল। এ সময় এমইএস বাসস্ট্যান্ডে বাসে ওঠার জন্য বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী দাঁড়িয়ে ছিল। বেশি ভাড়া পাওয়ার আশায় আগে যাত্রী ওঠানোর জন্য তিনটি বাসের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছিলাম। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর বাস উঠিয়ে দিই।’
‘সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮’ এর খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘প্রাণহানির ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ ইচ্ছাকৃত ছিল তদন্তে তা প্রমাণিত হলে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী চালকের শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।’ এ আইন অনুযায়ী বিচার হলে চালক মাসুম বিল্লাহর মৃত্যুদণ্ড হওয়ার কথা, কারণ তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। গত সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে বহুল আলোচিত এই আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। জাবালে নূর পরিবহনের অন্য দুটি বাসের দুই চালক ও দুই হেলপারকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গত ৬ আগস্ট তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়। জাবালে নূরের এক মালিককেও রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।