মুসলমানদের দ্বিতীয় প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। এই ঈদকে সামনে রেখে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। কোরবানিতে নানা ধরনের পশু কোরবানি হলেও মূলত আমাদের দেশে গরুর প্রাধান্য বেশি। তবে দেশি গরুর চাহিদাই সবার শীর্ষে।
শুক্রবার হাটগুলোতে পযার্প্ত পশু থাকলেও তেমন বেচাকেনা হয়নি বলে জানিয়েছেন বেপারিরা। সরেজমিন গোলাপবাগ মাঠে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠেছে হাটটি। প্রায় অধর্ যুগ পর এখানে হাট বসায় আশপাশের এলাকাতেও সাজসাজ রব বিরাজ করছে। দোকান ও রাস্তার পাশেও পশুর দাম নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গেছে।
ঝিনাইদহ থেকে আসা ইমদান নামের একজন বলেন, আফতাব নগরে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ থেকে প্রায় তিন শতাধিক ব্যবসায়ী গরু নিয়ে এসেছেন। সবাই যেখানে গরু রাখছেন, সেখানেই নিজেদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া উপায় নেই।পশুর খাবারের পাশাপাশি নিজেদের জন্য চাল-ডালও নিয়ে এসেছেন গ্রামের বাড়ি থেকে। সেই সঙ্গে নিয়ে এসেছেন রান্নার জন্য কেরোসিনের চুলা। পাশাপাশি মাথার ওপর কিছুটা ছায়া তৈরির জন্য এনেছেন পলিথিন।
গরু ব্যাপারীরা আশা করছেন ঈদের ছুটি শুরুর পর থেকে গরুর বেচাকেনা বাড়বে। ক্রেতারা কোরবানি দেওয়ার উদ্দেশ্যে তখন থেকে গরু কিনবেন। তবে বেশি গরু বিক্রি হবে ঈদের আগের দিন রাতে।