শারদীয় দুর্গাপূজায় প্রতিবারই নারীদের পছন্দের শীর্ষে থাকে বাহারি রঙের বিভিন্ন ডিজাইনের শাড়ি।গাঢ় রঙ আর জমিনে নজরকাড়া কারুকাজ না হলে কী পূজা জমে? তাই পছন্দসই শাড়ি কিনতে নারীরা ছুটছেন রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতানে।বরাবরের মতো এবারও যমুনা ফিউচার পার্কে মিলবে নতুন ডিজাইনের বাহারি রঙের শাড়ি।
সরেজমিন শুক্রবার রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট, চাঁদনীচকসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, শপিংমলগুলো আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
মার্কেটে পূজা উপলক্ষে ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। আনা হয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের বাহারি রঙের শাড়ি। শাড়ির কারুকাজ, ডিজাইনে এসেছে নতুনত্ব। এসি মার্কেট, নন-এসি মার্কেট, ফুটপাত, জুয়েলারি দোকান, টেইলার্স- সবখানে চোখে পড়ার মতো ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে।
শাড়ির মাকের্টে সুতি, কাতান, বেনারসির সঙ্গে এবার চল উঠেছে সিল্কের। পিওর সিল্ক, তসর সিল্কের শাড়ি। বাংলা এক প্যাঁচের সাদা ও লাল পাড়ের শাড়ি। যদিও এখন লাল-সাদার চেয়ে অফ হোয়াইট, হালকা গোল্ডেন জমিনের শাড়ির সঙ্গে হলুদ, কমলা, সবুজ, গোলাপি বা উজ্জ্বল রঙের পাড় লাগানো শাড়ির ফ্যাশন চলছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের iশাড়ি ব্যবসায়ী মো. মোবিন যুগান্তরকে জানান, পূজা উপলক্ষে বিক্রি ভালো হচ্ছে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় শুক্র ও শনিবার বিক্রি বেড়ে যায়। আর রঙের ক্ষেত্রে গোল্ডেন ও মেজেন্ডার চাহিদা বেশি। তবে লাল-সাদার জনপ্রিয়তা বরাবরের মতোই তার জায়গা ধরে রেখেছে।
যমুনা ফিউচার পার্কের বিশ্ব রঙের স্বত্বাধিকারী ডিজাইনার বিপ্লব সাহা যুগান্তরকে জানান, পূজা উপলক্ষে লাল, সবুজ, কমলা, হলুদ রঙের বিভিন্ন ধরণের নতুন ডিজাইনের নজরকাড়া শাড়ি আনা হয়েছে বিশ্ব রঙে।
তিনি বলেন, পূজা জন্য বিক্রি বেড়েছে। ছুটির দিনগুলোতে বিক্রি ভাল হয়। তবে প্রত্যাশা রয়েছে আরো বিক্রি বাড়ার।
পূজার জন্য যমুনায় শাড়ি কিনতে এসেছেন দোয়েল ব্যানার্জি। তিনি যুগান্তরকে বলেন, পূজায় শাড়ি না হলেই নয়, তাই কিনতে আসা। কারণ পূজা দিতে নতুন শাড়ির বিকল্প নেই।
তিনি জানান, যমুনায় এসে ভালো লাগছে। শাড়ি দেখছি। এখানে নতুন নতুন ডিজাইনের অনেক শাড়ি এসেছে, রঙও চমৎকার। এছাড়া শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে জুতা ও হ্যান্ডব্যাগ নেবেন বলেও জানান তিনি।
দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, দাম নাগালের মধ্যে।
অন্যদিকে তুলনামূলক কম দামের পোশাকের সমারোহের জন্য পরিচিত সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, ধানমণ্ডি হকার্স, চন্দ্রিমা, গাউছিয়া মার্কেটগুলোতে শুক্রবার ক্রেতা সমাগম বেড়ে যায়। ক্রেতাদের উপস্থিতিতে সরব হয়ে উঠেছে এসব মার্কেট।
চাঁদনীচক মার্কেটে শাড়ি কিনতে আসা চম্পা রানী জানান, অন্য মার্কেটের চেয়ে তুলনামূলক কম দামেই এখানে শাড়ি পাওয়া যায়। এছাড়া ইচ্ছেমতো দামাদামি করে পছন্দসই অনেক কিছুই কেনা যায়।
নিউমার্কেটের এক বিপণিবিতানের মালিক মোহাম্মদ বলেন, অন্য সময় বেচাবিক্রি খারাপ না।তবে পূজায় বিক্রি বেড়েছে। আর ছুটির দিনে দম ফেরানোর সময় পান না বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, পূজায় শাড়ি বেশি বিক্রি হয়। ভিড় প্রতিনিয়ত বাড়ছে। আর পূজার এক সপ্তাহ আগে থেকে ভিড় আরও বাড়বে।