শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এসব পদ শূন্য থাকায় বিদ্যালয়গুলোর ১০ হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানসহ প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় ও বিদ্যালয়গুলো সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য।
প্রধান শিক্ষকশূন্য বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আছে নয়াবিল ইউনিয়নে ৮টি, কলসপাড় ইউনিয়নে ৭টি, রুপনারায়ণকুড়া ইউনিয়নে ৬টি, নন্নী ইউনিয়নে ৫টি, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে ৪টি, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নে ৩টি, পোড়াগাঁও ইউনিয়নে ৩টি, বাঘবেড় ইউনিয়নে ২টি, যোগানিয়া ইউনিয়নে ১টি, রাজনগর ইউনিয়নে ২টি, মরিচপুরান ইউনিয়নে ২টি, কাকরকান্দি ইউনিয়নে ১টি ও পৌরসভায় ৩টি।
উপজেলার তন্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আতাউল হক বলেন, ‘পাঁচ বছর ধরে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। আমাদের বিদ্যালয়ে ২৭৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিদিন পাঠদান ছাড়াও প্রশাসনিক কাজকর্ম করতে হয়। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিলে পাঠদানে অনেক সুবিধা হতো।’
কালাকুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবু হানিফ বলেন, ‘২০১১ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার পর থেকে আমাকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। আমিসহ তিনজন শিক্ষককে ৩০৮ শিক্ষার্থীর পাঠদান করতে হয়। তারপর প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে অনেক বেগ পেতে হয়।’
বাগানবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘আট বছর ধরে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। পাঠদানের পাশাপাশি প্রতিদিন প্রশাসনিক কাজ করতে হয়। এতে নানা সমস্যা তৈরি হয়।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন নেছা বলেন, ৪৭টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। এতে করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শূন্য পদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে জেলা শিক্ষা কার্যালয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
শেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষকশূন্য বিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে তিনি অবগত। শূন্য পদের জন্য প্রধান শিক্ষক নিয়োগ চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
স্মার্ট নিউজ টোয়েন্টিফোর