কুরবানির ঈদের বাকি এক মাসেরও কম সময়। এর মধ্যে অনেক খামারে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে। দেশি গরুর চাহিদা সব সময় বেশি থাকলেও শঙ্কর জাতের গরুও আছে খামারে। গৃহস্থের গোয়ালেও এবার অনেক গরু। গ্রামগঞ্জে কৃষক ও গৃহস্থদের সংগ্রহ এবার ভালো। বেড়েছে খামারের সংখ্যাও। সরকারের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, গৃহস্থ ও খামারিরা মনে করছেন দেশি গরুতেই মিটবে কুরবানির পশুর চাহিদা। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গবাদি পশুর দাম বাড়তে পারে বলে সাধারণ মানুষ মনে করলেও দেশের অনেক জেলায় বন্যার পদধ্বনিতে গৃহস্থ ও খামারিরা আছেন দুশ্চিন্তায়। অবশ্য কিছু কিছু খামারে এবারো প্রায় অর্ধ লাখ টাকা মূল্যের গরু উঠানো হয়েছে। আছে বাহারি নামের ফ্রিজিয়ান, ব্রাহামা জাতের গরুও। আছে দেশীয় ষাড়ও।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, কুরবানির পশু নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই। দেশে উৎপাদিত পশুই কুরবানির জন্য যথেষ্ট। তিনি বলেন, প্রাণিসম্পদ উৎপাদনে বাংলাদেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। এবারো কুরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত গরু, মহিষ ও ছাগল রয়েছে। গৃহস্থ ও বেপারিরা পুরো শ্রমের দাম পাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতবার অনেক পশু বিক্রি হয়নি। করোনার কারণে কুরবানি কম হয়েছে। এবার কুরবানি বেশি হবে আশা করে তিনি বলেন, গো-খাদ্যের দাম অনেক বেশি। অর্থমন্ত্রী বাজেটে গো-খাদ্যের দাম কমানোর কথা বললেও বাস্তবে চিত্র উল্টো।
বন্যার পদধ্বনির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এতদিন কষ্ট করে যারা গবাদিপশু পালন করেছেন, তারা পানি উঠলেও ঈদের আগে গরু বিক্রি করবেন না। এর প্রভাব পড়বে বাজারে। চোরাই পথে কিছু গরু আসছে বলেও দাবি করেন তিনি।
মোহাম্মদপুরে বেড়িবাঁধ এলাকায় ওয়েলথটেক এগ্রো নামের খামারের ম্যানেজার মো. নাঈম হোসাইন বলেন, কুরবানির ঈদকে সামনে রেখে আমরা পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছি। আমাদের সোনারগাঁওয়ে একটা শাখা আছে। দুই জায়গায় মিলে তিনশর মতো পশু রেডি আছে। অলরেডি অনেক পশু ক্রেতা স্বচক্ষে দেখে বুকিং করে রেখেছেন। পশুগুলোকে প্রাকৃতিক খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে বড় করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতিকর কোনো ইনজেকশন না দিয়ে প্রাকৃতিক খাবার খাওয়ানোর মাধ্যমে পশুগুলো বড় করা হয়েছে। দানাদার খাবার, গম, ভুট্টা, ঘাস ও সয়ামিল খাওয়ানো হয়েছে পশুগুলোকে।