মিয়ানমারে অব্যাহত বর্বর নির্যাতনের মুখে দেশটি থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের ঢলে সংকটময় মুহূর্তে বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা বলেছে প্রতিবেশী ভারত ও চীন।
সোমবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এশিয়ার দেশগুলোর কূটনীতিকদের কাছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ের পর পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান।
চলমান রোহিঙ্গা-সংকট এবং বাংলাদেশের অবস্থান জানাতে বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠক হয়।
মিয়ানমার সেনাদের বর্বরতায় গত ২৫ আগস্টের পর থেকে প্রতিদিন অন্তত ১৫ হাজার রোহিঙ্গা দেশ ছাড়ছে। আর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে আরও লাখো রোহিঙ্গা।
পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘চীন ও ভারত আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ। এই দুঃখকালীন, কষ্টকালীন সময়েও তারা আমাদের পাশে থাকবে। আগে যেভাবে থেকেছে।’
এর আগে রোববার যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের এই সঙ্কট সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
গত ২৪ অগাস্ট রাতে পুলিশ পোস্ট ও সেনা ক্যাম্পে হামলার ঘটনার পর থেকে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে চালানো হচ্ছে হত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা ছুটে আসছেন বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে।
দশকের পর দশক ধরে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বহন করে আসা বাংলাদেশে এই দফায় আরও তিন লাখের মতো রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে বলে ইতোমধ্যে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
দমন অভিযানের মুখে ইতোমধ্যে পালিয়ে আসা শতাধিক রোহিঙ্গার লাশ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাফ নদীতে ভেসে আসতে দেখা গেছে।