আইসিসির নিয়মের কোপে পড়ে প্রথম ইনিংসে ওপেন করতে পারেননি দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবারের মত মিডল অর্ডারে নামেন তিনি।
দ্বিতীয় ইনিংসে প্রিয় পজিশন ফিরে পেলেও শুন্য হাতেই ফিরতে হলো তামিমকে। তাকে ০ রানে বোল্ড করে জয়ের পথ প্রশস্ত করলেন মরনে মরকেল। এরপর ০ রানেই এলবিডাব্লিউ হলেন বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া মুমিনুল হক! শিকারী সেই মরকেল। দ্বিতীয় ইনিংসে ০ রানেই ২ উইকেট হারাল বাংলাদেশ।মুমিনুল রিভিউ নিলেই বেঁচে যেতেন। মরকেলের বলটি তার স্টাম্প মিস করেছিল। রিভিউ নিতে চেয়েও কেন যেন মত পাল্টালেন মুমিনুল! এর আগে ৬ উইকেটে ২৪৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে প্রোটিয়ারা। জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪২৪ রানের। ম্যাচটি ড্র করতে হলেও আজকের বাকী দিন এবং আগামীকাল পঞ্চম দিনের পুরোটা ব্যাট করতে হবে টাইগারদের।
পচেফস্ট্রুম টেস্টের চতুর্থ দিনের শুরুটা অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল। শুরুতেই বিপজ্জনক হাশিম আমলাকে (২৮) কাটারে বোকা বানান মুস্তাফিজুর রহমান। অফ স্টাম্পের বাইরে বল মারার লোভ সামলাতে না পেরে লিটন দাসের গ্লাভসে ক্যাচ দেন আমলা! আগের দিন প্রায় একইভাবে অভিষিক্ত মারক্রামকে আউট করেছিলেন মুস্তাফিজ। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যেন বোলিংয়ের ধার হারাতে থাকে বাংলাদেশ। লাঞ্চের আগে বড় জুটি গড়ে ফেলেন ইমরুলের হাতে জীবন পাওয়া বাভুমা এবং অধিনায়ক ডু-প্লেসিস।
বাভুমার ক্যাচ ফেলায় অবশ্য ইমরুলের দায় দিয়ে লাভ নেই। পয়েন্ট হাঁকানো বাভুমার প্রচণ্ড গতির শটটি ক্যাচে পরিণত করতে গিয়ে আঙুলে আঘাত পান ইমরুল। শেষমেষ মাঠই ছাড়তে হয় তাকে! ৭৫ বলে ক্যারিয়ারের ৯ম হাফ সেঞ্চুরি করেন বাভুমা। অধিনায়ক ফাফ ডু-প্লেসিসের সঙ্গে তার জুটি হয়ে গিয়েছিল ১৪২ রানের।
হাত চালিয়ে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির দিক এগিয়ে যাওয়া প্রোটিয়া ক্যাপ্টেনকে (৮১) এলবিডাব্লিউ করে এই জুটি ভাঙেন মুমিনুল। দলীয় ২১২ রানে প্রোটিয়াদের চতুর্থ উইকেট পতনের পরই আকাশ ভেঙে নেমে আসে বৃষ্টি। বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে আবারও আঘাত হানেন মুমিনুল।
তার বলে ৭১ রান করা টেম্বা বাভুমা খোঁচা মেরে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। অপূর্ব দক্ষতায় সেই বলটি গ্লাভসবন্দী করলেন লিটন দাস। প্রোটিয়াদের ৬ষ্ট উইকেটের পতন ঘটান এই মুমিনুল-লিটন জুটি। মুমিনুলের বলেই ৮ রান করা প্রোটিয়া উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কককে দারুণ দ্রুততায় স্টাম্পিং করেন লিটন দাস।