কলকাতায় আয়োজিত বিমসটেক-প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে বাংলাদেশের শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, চলতি বছরের মধ্যেই বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশনের (বিমসটেক) সাত সদস্য দেশের মধ্যে মুক্তবাণিজ্য এলাকা গড়ে তোলার দাবি কার্যকর করা জরুরি হয়ে উঠেছে। বিমসটেক হলো দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ড এর সদস্য।
শুক্রবার কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে বিমসটেক-প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে তিন দিনের এই প্রদর্শনী। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানে আমির হোসেন আমু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব বিভাগের সচিব প্রীতি শারন, ইন্ডিয়ান চেম্বার অব কমার্সের প্রধান রাজীব সিং ও বিমসটেক সদস্যদেশের প্রতিনিধিরা।
আমু বলেছেন, বিমসটেকের জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশ অন্যান্য সদস্য দেশের সঙ্গে মিলিতভাবে এটিকে কার্যকর আঞ্চলিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করে চলেছে। বিমসটেকের সদস্যদেশের সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবনমানের পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই গোষ্ঠী যাতে সফল হতে পারে, এ জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিক আগ্রহ দেখিয়েছেন। গত ২০ বছরে বিমসটেক অনেক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়েছে।
আমু বলেন, বিমসটেকের মিলিত জনসংখ্যা ২১ শতাংশ হলেও বিশ্বে এই গোষ্ঠীর মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ মাত্র ৭ শতাংশ। বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিমসটেকের সাফল্য অকিঞ্চিৎকর। তাই দ্রুত সমঝোতা চুক্তি ও কার্যকর ব্যবস্থা চালু করা দরকার। বিমসটেক দেশগুলোর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আইসিটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কাটানোর ক্ষেত্রে সহযোগিতা, পর্যটন এবং ব্লু অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।