খুলনার ফুলতলা উপজেলাধীন বিল ডাকাতিয়া, মশিয়ালি ও গিলাতলা এলাকায় চলতি মৌসুমে সরিষা চাষ কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে ফসলের মাঠে সরিষা ফুলের হলুদের সমারোহ। হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জন এবং বাতাসে দুলতে থাকা ফুলে দোল খাচ্ছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন।
চলতি মৌসুমে ফুলতলা উপজেলায় আটরা গিলাতলা ইউনিয়নে সরিষা চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি হয়েছে। আমন আর বোরো ফসলের মাঝখানে কৃষকরা সরিষা চাষকে বোনাস হিসেবে দেখছে।
সরিষা তুলে সে জমিতে আবার বোরো আবাদ করা যায়। এতে কৃষিজমির সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত হয়। একসময় কৃষকরা আমন ধান কাটার পর জমি পতিত ফেলে রাখত। সময়ের সাথে সাথে তা পুরোটাই পাল্টে গেছে। আমন ধান কাটার পর জমিতে সরিষা লাগাতে হয়। মাত্র ৭০ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফসল কৃষক ঘরে তুলতে পারে।
সরিষা চাষ খুবই লাভজনক একটা আবাদ। অতি অল্প সময়ে, অল্প পুঁজিতে এ ফসল চাষ করা যায়। যদি সঠিকভাবে পরিচর্যা করা যায় তাহলে প্রতি বিঘায় ফলন হয় পাঁচ থেকে ছয় মণ সরিষা। সরিষার ফুলে ক্ষেত ভরে গেছে।