রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামে। সারা বিশ্বেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে সে তুলনায় দেশের বাজারে দাম অনেক বেশি। কোনো কোনো পণ্যের দাম যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি।
বাজার ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলার অভাব, চাহিদা-জোগান সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকাসহ বেশ কিছু কারণে পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
গতকাল রবিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতি কোন পথে’ শীর্ষক আলোচনাসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
দেশের ব্যালান্স অব পেমেন্টে গত সাত মাসে যে অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, তাতে এত বড় চ্যালেঞ্জ আর আসেনি। গত জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত লেনদেনের ভারসাম্য ছিল মাইনাস দুই বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ছয় বিলিয়ন ডলার। এর অর্থ হলো প্রায় আট বিলিয়ন ডলার কমেছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, পর্যালোচনায় পাঁচটি বিষয়—দ্রব্যমূল্য, বহিঃখাত, ব্যাংকিং খাত, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও বাজেট ব্যবস্থাপনা প্রাধান্য পাচ্ছে। গত কয়েক মাসে এর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম অত্যন্ত বেশি।
কোনো কোনো খাদ্যপণ্যের দাম ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। বিশেষ করে চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও ভোজ্য তেলের মূল্য দ্বিগুণ হয়েছে।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, মিনিকেট, পাইজাম ও মোটা চালের দামই ঊর্ধ্বমুখী। থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের চেয়ে বাংলাদেশে চালের দাম বেশি।