তিনি বলেন, ‘আমরা মাথা নোয়াইনি। আমরা কখনো মাথা নোয়াবো না। বাঙালি জাতি কখনও মাথা নোয়ায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মাথা নোয়াননি, তিনি আমাদের মাথা নোয়াতে শেখাননি, ফাঁসির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি জীবনের জয়গান গেয়েছেন। তারই নেতৃত্বে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।’
আজ শনিবার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সব বাধা পেরিয়ে বিশ্ব ইতিহাসের নতুন মাইলফলক স্পর্শ করল বাংলাদেশ। এখন দিগন্তবিসারী দুরন্ত নদীর সগৌরবে দৃশ্যমান স্বপ্নের পদ্মা সেতু, যা আমাদের সাহসিকতা ও সক্ষমতার মূর্ত প্রতীক। এটি শুধু একটি সেতুই নয়; এটি বাঙালি জাতির একটি আবেগও বটে। কোনো এক দুঃস্বপ্নকে হাতের মুঠোয় এনে বিশ্ববাসীকে নিজের সামর্থ্য দেখিয়ে দেওয়া।
পদ্মা সেতু তৈরির পেছনে যার অবদান অনস্বীকার্য, তিনি হচ্ছেন দৃঢ়চেতা, বলিষ্ঠ সাহসী একজন ‘শেখ হাসিনা’, যিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা। স্বপ্নের এই সেতু নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র, বিতর্ক, দুর্নীতির অভিযোগ সবকিছু মিথ্যা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃপ্ত পদক্ষেপে একটি অবাস্তবকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে বাঙালি জাতি। যা সত্যিই বিশ্বের অনেক দেশের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।