শান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের আন্তর্জাতিকীকরণের লক্ষ্য নিয়ে শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে দুই দিনের বিশ্ব শান্তি সম্মেলন।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ- এমন অভিপ্রায় সামনে রেখে বিদেশি অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে সম্মেলনের স্লোগান নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘শান্তি ও সম্প্রীতির দেশে স্বাগতম’। বাংলাদেশ যে বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে, এই সম্মেলনে সেই বার্তা সবার কাছে পৌঁছাতে চায় ঢাকা।
৯১টি দেশের শান্তিকর্মীরা আমাদের শান্তি সম্মেলনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে তারা বিশ্ব শান্তি বিষয়ে একটি ঘোষণা তৈরি করবেন।
বঙ্গবন্ধুর শান্তি দর্শনের আলোকে শান্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোচনা হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা শান্তি ঘোষণা’ শীর্ষক একটি সর্বসম্মত ঘোষণার মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হবে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যুক্ত থাকবেন জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান-কি মুন, মিশরের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আরব লীগের সাবেক মহাসচিব আমর মুসা, পূর্ব-তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট নোবেলবিজয়ী হোসে রামোস হোর্তা ও মালয়েশিয়ার সাবেকমন্ত্রী সৈয়দ হামিদ আলবার।
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আজ (শনিবার) বেলা আড়াইটায় দুদিনব্যাপী এই সম্মেলন উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল রোববার সমাপনী অনুষ্ঠানে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর নামে সম্মাননা দেয়া হবে। বৈশ্বিকভাবে যেসব মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছেন, বিশেষ করে কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিক, বিজ্ঞানীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্মেলনে সম্মানিত করা হবে।