ক্যানসারের চিকিৎসা জটিল হলেও সময়মতো সঠিক চিকিৎসা হলে এবং নিয়মিত চিকিৎসকের ফলোআপে থাকলে সুস্থ হওয়া সম্ভব। মাথার খুলির মুখের অঞ্চল এবং গলার ভেতরে অনেকগুলো স্ট্রাকচার বা অঙ্গ আছে যেমন-নাক, সাইনাস, নাকের পেছনে ন্যাসোফ্যারিংস, মুখ, মুখগহ্বর, জিহবা, গলার টনসিল, শ্বাসনালী, খাদ্যনালী, থাইরয়েড গ্রন্থি, লালাগ্রন্থি।
এগুলোর সমষ্টিগত ক্যানসারকে হেড-নেক ক্যানসার বলা হয়। আমাদের গলার ভেতরের দিকটা একটা আবরণ দিয়ে আবৃত থাকে, যেটাকে আমরা মিউকাস মেমব্রেন বলি। এই মিউকাস মেমব্রেনে ক্যানসার বেশি হয় এবং এটাকে আমরা চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় Squamous Cell ক্যানসার বলে থাকি। একে বিশেষজ্ঞরা প্রতিরোধযোগ্য মরণব্যাধি নামে আখ্যায়িত করে থাকেন। প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় হলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে দ্বিগুণ।
সাধারণত ৬০ শতাংশ রোগী বিলম্বে ডাক্তারের কাছে আসে। দেখা যায়, রোগী যাকে সামান্য টিউমার ভেবে গুরুত্ব দেননি, সেটিই বহুদিন ধরে বয়ে চলেছে ক্যানসারের জীবাণু। কারণ এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যথাহীন। এতে সামান্য কিছু শারীরিক পরিবর্তন দেখা যায়, যা প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। তাই রোগীরা দেরি করে আসে।
লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে একজন নাক-কান-গলা এবং হেড-নেক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখানো উচিত।