তবে টানা বৃষ্টি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ঝড়ো হাওয়ায় ধান নষ্টের কারণে বাড়ছে চালের দাম। ‘বাজারে নতুন চাল এখনো আসছে না। বাজারে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে তা গত বছরের পুরনো চাল। তাহলে নতুন ধান কোথায় যাচ্ছে?’ সাধারণত মৌসুম শুরু হলে চালের দাম অনেকটাই কমে যায়। স্বস্তি পায় মানুষ। এ মৌসুমে দাম কমে যাওয়ার কারণ হলো, বোরোতে দেশের মোট চালের প্রায় ৫৫ শতাংশ উৎপাদিত হয়। বিপুল সরবরাহ দাম কমিয়ে দেয়।
বড় ব্যবসায়ীরা অবৈধ মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। তারা নিজেরাই সিন্ডিকেট করে নিয়ন্ত্রণ করছেন ধান ও চালের বাজার। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষ। হাওরে ধান উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি ও বন্যার কারণে কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না।
কৃষকদের মধ্যে হতাশা রয়েছে। এখনো ৫ শতাংশ চাল ওঠেনি কৃষকের ঘরে। আমরা মিলগেটে চাল বিক্রি করি সরকার নির্ধারিত রেটেই। আমরা কোনো দাম বাড়াইনি। এর ভাউচার ও রিসিট সবই আছে। তবে ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে চালের দাম। এটি নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে চালের সরবরাহ বাড়ানোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে চোখ-কান খোলা রেখে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার করতে হবে।