ভারতে দুর্গাপূজা আগে মধ্যবিত্তের থলিতে ফিরছে স্বস্তি। মহারাষ্ট্রের নাসিকে কিছু ব্যবসায়ীর গুদাম-অফিস-বাড়িতে আয়কর দপ্তরের হানায় ৩৫% দাম কমতে চলেছে পেঁয়াজের।
বৃহস্পতিবার দেশের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ বাজার নাসিকে সাতজন ব্যবসায়ীর দফতরে হানা দেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে তল্লাশি চালানো হয় ওই সব ব্যবসায়ীর বাড়ি ও গুদামেও। এর ফলে এক ধাক্কায় কমে যায় পেঁয়াজের পাইকারি দর। এর জেরে মহারাষ্ট্রের লাসালগাঁওয়ে পেঁয়াজের নিলামে পণ্য পাঠানো বন্ধ করেন কৃষকরা। এদিন ৩৫% দাম কমার ফলে লাসালগাঁওয়ে কুইন্টাল পিছু পেঁয়াজের দর ১৪০০ টাকা থেকে নেমে দাঁড়ায় ৯০০ টাকায়। পাশাপাশি, পেঁয়াজের ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ পাইকারি দর যথাক্রমে প্রতি কুইন্টাল ৫০০/- এবং ১৩৩১/- নথিভুক্ত হয়।
লাসালগাঁও কৃষিপণ্য বাজার কমিটির চেয়ারম্যান জয়দত্ত হোলকর জানিয়েছেন, ‘ওই সমস্ত ব্যবসায়ীরা বাজারে আসা পেঁয়াজের ৩০% কিনতে সক্ষম। কিন্তু আয়কর হানার ফলে ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম পড়েছে। এদিকে এত কম দামে বিক্রি করতে নারাজ হওয়ায় নিলাম বাজারে পণ্য পাঠাতে রাজি হননি কৃষকরা।’
প্রসঙ্গত, গত ৩১ মে প্রতি কুইন্টাল পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫০ টাকা। কিন্তু ১০ অগস্ট তা বেড়ে দাঁড়ায় ২,৪৫০ টাকায়। জোগানের অভাবেই দাম লাফিয়ে বাড়ে বলে জানা যায়। শহরের খুচরা বাজারে গত ২-৩ মাসে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম ১০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়। কিছু কিছু শহরের বাজারে সম্প্রতি তা ৪০-৫০ টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত হয়। কিন্তু ১৮ অগস্ট লাসালগাঁও পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ওঠা-পড়ার ব্যাপারে তদন্ত করতে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের দুই প্রতিনিধি যাওয়ার পর থেকেই দাম কমতে শুরু করে। এই সময়।