মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর হামলার নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
একই সাথে রাখাইনে চলমান পরিস্থিতিতে মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিকদের প্রবেশের অনুমতি দিতে আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিথার নওয়ার্ট সাংবাদিকদের বলেছেন, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া, নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বেসামরিক কর্তৃক সহিংসতাসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের পরিপ্রেক্ষিতে বড় ধরনের বাস্তুচ্যুতি ঘটেছে।
মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর রক্তক্ষয়ী হামলার আবারও নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেছেন, স্থানীয় (রাখাইন) লোকজনের ওপর দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর হামলা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতো আমরাও আহ্বান জানাই। তবে রোহিঙ্গা গণহত্যাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাতে অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
হিথার নওয়ার্ট বলেন, মিয়ানমার নিয়ে আলোচনা চলছে এবং এ সময় আগ বাড়িয়ে পদক্ষেপ নিতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র।
তিনি দাবি করেন, মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় সহায়তায় গণহত্যা চালানো হচ্ছে বলে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য বলে প্রমাণ পায়নি মার্কিন কর্মকর্তারা।
তিনি বলেন, ‘রাখাইন রাজ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন। তবে রাষ্ট্রীয় মদদে গণহত্যার প্রমাণ পাননি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।’
এদিকে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালে এ প্রসঙ্গে দাবি করেছেন, তার সরকার রাখাইন রাজ্যের প্রত্যেকে রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমার থেকে ইতোমধ্যে দুই লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। যারা অনেকে ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত। এ ছাড়া তারা দেশটির সেনা ও বেসামরিক লোকজনের দ্বারা হত্যা, ধর্ষণ এবং ব্যাপক অগ্নিসংযোগের ঘটনা বলছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের কয়েকটি তল্লাশিচৌকিতে উগ্রবাদীদের হামলার সূত্র ধরে রাখাইন রাজ্যে দমন অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এরপর থেকেই দেশটির সেনাবাহিনীর অভিযানে বাংলাদেশে আসছেন রোহিঙ্গারা। আল জাজিরা