রাজশাহী অঞ্চলে পাঁচদিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হয়েছে। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। নগরীর উপকণ্ঠ বায়া, গোদাগাড়ী, পুঠিয়ার বেলপুকুর ও নাটোরে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, গত শুক্রবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে শাহ মখদুম থানার বায়া এলাকায় উল্টে খাদে পড়ে তিনজন নিহত এবং সাতজন আহত হয়। আহতদের চারজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহতরা হলেন- দুর্গাপুরের দাউকান্দির মৃত আমানত উল্লার ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী শামিমা বেগম (৩০), মোহনপুরের তেবাড়ি সাধুপাড়ার আরজেদ খানের ছেলে খোরশেদ আলী (১৮)। আহতদের মধ্যে নিহত শহিদুল ইসলামের মেয়ে ঋষি খাতুনকে (৭) হাসপাতালে ভুর্তি করা হয়।
একইদিন (শুক্রবার) ভোরে গোদাগাড়ীতে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা সামসুল হকের (৪০) মৃত্যু হয়েছে। এতে আবুল হায়াতের (৩০) দুই পা ভেঙে যায়।
গত শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় উপজেলার পুঠিয়া বেলপুকুর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) চেকপোস্ট সংলগ্ন এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তুহিন পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টে খাদে পড়ে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়। আহতদের রামেক হাসপাতালেসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়।
গত মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের দিঘাপতিয়ায় বাসের ধাক্কায় এক জেএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুইজন নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরেকজন। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার ইসলাবাড়ী গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে ও বাকশোর ইসলাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র জহুরুল ইসলাম (১৮) এবং একই এলাকার ঈদ্রিস আলীর ছেলে ও দিঘাপতিয়া পিএন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নূর মোহম্মদ মিম (১৪)।
গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় নাটোর সদর উপজেলার নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের রাইচান ব্রিজের কাছে ট্রাক্টর ও অটোরিক্সার সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন নিহত হয়। এসময় আহত হয় আরও চারজন। নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার ভুবনতারা গ্রামের মোহম্মদ কালুর ছেলে মোহম্মদ শরিফ, তার স্ত্রী রেশমা বেগম ও নাটোর শহরের বড়গাছা এলাকার তোফাজ্জল হোসেন। গত বুধবার দুপুরে গোদাগাড়ীতে ভটভটির সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন, নারায়পুর গ্রামের আব্দুল করিম (৩২) ও তার স্ত্রী। এঘটনায় আরেকজন আহত হয়।
এ ব্যাপারে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) রাজশাহীর সভাপতি অ্যাডভোকেট তৌফিক আহসান বলেন, সড়কের বেহাল দশা ও চালকদের অসচেতনতার কারণে সড়ক দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।
রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) ইফতেখায়ের আলম বলেন, চালকদের আরও সচেতন হতে হবে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ট্রাফিক আইন মেনে চলতে হবে।
স্মার্ট নিউজ টোয়েন্টিফোর