পানামা পেপারস নিয়ে প্রতিবেদন করা অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও ব্লগার ড্যাফনে কারুয়ানা গালিজিয়া নিহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংস্থা সেন্টার ফর পাবলিক ইন্টিগ্রিটি (সিপিআই)। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে তাঁরা।
গত সোমবার দুর্নীতিসংক্রান্ত নথি ফাঁস করে আলোচিত হওয়া পানামা পেপারস নিয়ে প্রতিবেদন করা অনুসন্ধানী এই সাংবাদিক ও ব্লগার ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র মাল্টায় বাসার কাছে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত হন।
সিপিআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জন ডানবার শোক প্রকাশ করে বলেন, এটি কেবলমাত্র একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিকের করুন মৃত্যুই নয়, বরং এই পেশার সকলের ওপর আক্রমণ। অপরাধীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে আইসিআইজে। বিবৃতিতে এর পরিচালক জেরাড রাইল বলেন, আইসিআইজে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং মাল্টায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। মাল্টা কর্তৃপক্ষের প্রতি অপরাধীদের বিচারের সম্মুখীন করতে এই হত্যার তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ড্যাফনে কারুয়ানা পরিবারের পাশে আছি।
নিহত ড্যাফনে কারুয়ানা গালিজিয়া মাল্টার প্রধানমন্ত্রী জোসেফ ম্যাসক্যাটের কাছের লোকদের দুর্নীতি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন করেছিলেন। কারুয়ানা গালিজিয়া স্বামী এবং তিন সন্তান নিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের উত্তর দিকে বিদনিজা এলাকায় থাকতেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণে তাঁর গাড়ি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
স্থানীয় একটি টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, কারুয়ানা গালিজিয়া এই মাসের শুরুতে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য মাল্টা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন নিহত সাংবাদিকের ছেলে ম্যাথু।
গত বছরের এপ্রিলে বিশ্বজুড়ে বহুল আলোচিত অর্থ পাচারের ‘পানামা পেপারস’ কেলেঙ্কারি প্রকাশ পায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনভিত্তিক অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট (আইসিআইজে) পানামা পেপারস ফাঁসের মাধ্যমে বিশ্বের ধনী ও প্রভাবশালীদের একাংশের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনে। আইসিআইজে ‘অর্গানাউজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট’ নামের এক প্রকল্পের অধীনে কাজ করে, যা সিপিআই থেকে পরিচালিত হয়।