বাউন্সারের আঘাতে ব্যাটসম্যানদের মাটিতে লুটিয়ে পড়ার দৃশ্য কম দেখেনি টেস্ট ক্রিকেট। বাউন্সার আবার টেস্টের একটা শিল্পও। কিন্তু সেই শিল্পের ওয়ানডেতে আগমন ঘটলে কেমন হবে? দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার জাঁ পল ডুমিনি কিন্তু সে রকম প্রচ্ছন্ন একটা হুমকিই দিয়ে রাখলেন বাংলাদেশ দলকে।
মানগাউং ওভালে বাংলাদেশ দল আজ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিপক্ষে। ডুমিনি সেই দলের অধিনায়ক। তাঁর আশা, প্রস্তুতি ম্যাচের উইকেটে ভালোই বাউন্স থাকবে। তাঁর কথা শুনে এটাও মনে হচ্ছে, ১৫ অক্টোবর কিম্বার্লিতে শুরু ওয়ানডে সিরিজেও অস্বস্তিকর বাউন্সারের মুখোমুখি হতে হবে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের, ‘আমার মনে হয় এবারও ও রকম কিছু হবে। এটা ঠিক যে খেলার ফরম্যাট বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে পরিকল্পনাও বদলায়। তবে পরিকল্পনানির্ভর করে প্রতিপক্ষের শক্তিমত্তা আর দুর্বলতার ওপরও। ওয়ানডে সিরিজে ও রকম পরিকল্পনা আমাদের অবশ্যই থাকবে এবং আগামী কয়েক দিন আমরা এ নিয়ে আরও আলোচনা করব।’
ওয়ানডে দলের দুজন ক্রিকেটারই শুধু আছেন প্রস্তুতি ম্যাচের দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশে। জাঁ পল ডুমিনি তো অধিনায়কই, আছেন এবি ডি ভিলিয়ার্সও। ভিলিয়ার্সের জন্য বাংলাদেশ সিরিজটা হবে প্রত্যাবর্তন সিরিজ। প্রস্তুতি ম্যাচের দলে তাঁর মতো একজনকে পেয়ে খুশি আমন্ত্রিত একাদশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশ দলও যেমন স্বস্তিতে সাকিব আল হাসান ফেরায়। টেস্ট সিরিজটা বিশ্রামে কাটিয়ে সাকিব মাঠে ফিরছেন মানগাউং ওভালের প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে। ডুমিনির ধারণা, সাকিবের প্রত্যাবর্তন উজ্জীবিত করবে বাংলাদেশ দলকে, ‘কোনো সন্দেহ নেই সাকিব আল হাসানের প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। টেস্টে তারা তার অভাব অনুভব করেছে। বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিব অনেক গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় এবং একজন ম্যাচ উইনারও।’
সাকিব ফিরেছেন বলেই শুধু নয়, সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য কমে আসে বলেও সিরিজ জিততে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ভালো খেলার বিকল্প দেখছেন না ডুমিনি। অন্তত টেস্ট সিরিজের চেয়ে যে ওয়ানডে সিরিজটা তাদের জন্য কঠিন হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই তাঁর, ‘আমার দৃঢ়বিশ্বাস ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতা টেস্টের চেয়ে অনেক কঠিন হবে। টেস্টে আমাদের দলটা খুবই ভালো খেলেছে, প্রায় প্রতিটি দিনই বাংলাদেশের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে তারা। কিন্তু ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের অনেক এগিয়ে নিয়েছে। তাদের হারাতে আমাদের ভালো খেলতেই হবে।’
তার আগে আজকের প্রস্তুতি ম্যাচটাকে আমন্ত্রিত একাদশের জন্যও একটা সুযোগ মনে করছেন ডুমিনি। এখানেও সেই একই কারণ-সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ছোট দল বড় দলের পার্থক্য কমে আসা, ‘আমি সব সময় বিশ্বাস করি, ছোট সংস্করণের ক্রিকেট দলগুলোকে কাছাকাছি নিয়ে আসে। আমন্ত্রিত একাদশের জন্য তাই এটা বাংলাদেশকে হারানোর খুব ভালো একটা সুযোগ। টেস্ট সিরিজে ২-০-তে হারায় তারাও নিশ্চয়ই আত্মবিশ্বাসের দিক দিয়ে পিছিয়ে থাকবে।’