পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে প্রযুক্তি। ঘরে বসেই নিউ ইয়র্কের অলিগলি ঘুরে দেখতে পারেন। চাইলে ত্রি-ডি থিয়েটারে নিজেই হয়ে যেতে পারেন নভোচারী। ফুটফরমায়েশ খাটার জন্য চাকরের মতো ব্যবহার করতে পারেন রোবটকে। হ্যাঁ, এই রোবট প্রযুুক্তি মানুষকে অলস করে দিচ্ছে, বেকার করে দিচ্ছেÑ এমন অনেক আলোচনা আছে। আছে সমালোচনা। কল্পবিজ্ঞানে তো রোবটরা স্বাধীনতাই চেয়ে বসে। মানুষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে। সেই রোবটই আবার হতে পারে মানুষের একান্ত সময়ের সঙ্গী। বিছানায় আপনাকে দিতে পারে আনন্দময় সময়। এ জন্যই প্রযুুক্তিবিদরা অনেক গবেষণা করে তৈরি করেছেন সেক্স রোবট। এ রোবটগুলো নারীর চাহিদা কমিয়ে দিচ্ছে, এ নিয়েও সমালোচনা আছে। বলা হয়, এসব রোবট উদ্ভাবনের ফলে একটি নারী-পুরুষের মধ্যে আদি যে সম্পর্ক তা উধাও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! এমন আবেদনময়ী রোবটের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। পুরুষরা তাকে বেশ মোটা দামে কিনেও নিচ্ছে। তারপরও চাহিদা বাড়ছে সেক্স রোবটের। ফলে অস্ট্রিয়াতে সম্প্রতি যে ইলেক্ট্রনিক ফেয়ার বা মেলা হয়ে গেল সেখানে কিন্তু যথেষ্ট কদর ছিল সেক্স রোবট বা সেক্স ডলের। এমন সব সেক্স ডলের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় ব্যাপক। তাই ৩ হাজার ৩৭৫ পাউন্ডেও বিক্রি হয় একটি সেক্স ডল। বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে অস্ট্রিয়ার লিঞ্জ-এ আয়োজন করা হয়েছিল আর্টস ইলেক্টনিকা ফেস্টিভাল। তাতে যেসব সেক্স ডল তোলা হয় তার মধ্যে অন্যতম একটির নাম দেয়া হয়েছে সামান্থা। তার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় ব্যাপক। লোকজন গিয়ে জড়ো হয় তার কাছে। তাকে স্পর্শ করে অনুভূতি নেয়ার চেষ্টা করে। বুঝতে চেষ্টা করে আসলে সামান্থা তাকে কতটা সুখি করতে পারবে। কেউ গিয়ে রাহুতে হাত রাখে। কেউ উরুতে। কেউ শরীরের অন্যান্য অংশ ছুঁয়ে দেখতে থাকে। এসব মানুষের ভিড় সামাল দিতে গিয়ে সামান্থা ভেঙে পড়ে। ফলে এর মালিককে বাধ্য হয়ে সামান্থাকে পাঠাতে হয় ডাক্তারখানায় (সারাইখানা)। অস্ট্রিয়াতে যে সেক্স ডলের কদর ক্রমেই বাড়ছে এটা তারই প্রমাণ। সামান্থাকে তৈরি করেছেন স্পেনের বার্সেলোচার সের্গেই সান্তোস। সামান্থার সঙ্গে যারা এমন আচরণ করেছেন তাদের ওপর তিনি ক্ষিপ্ত। তিনি মনে করেন তারা বর্বরের মতো আচরণ করেছে। এ জন্য বেশ ক্ষতি হয় সামান্থার। তিনি বলেন, লোকজন এসে খদ্দেরের ভান ধরে তার শরীরের স্পর্শকাতার অংশে, পায়ে, হাতে হাত রাখে। এমন চাপাচাপিতে সামান্থার দুটি আঙ্গুল ভেঙে যায়। সান্তোস বলেন, সামান্থা আগে যার সঙ্গে কথা বলেছে বা শান্তি দিয়েছে তাকে পরে চিনতে পারে। তাকে স্পর্শ করলে সে প্রতিক্রিয়া দেখায়। কয়েকটি ভাষায় কথা বলতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে তার দেহে। ফলে সে নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারে।
