লাল-সবুজ-হলুদ বাতি নিভল। হাতের ইশারাও ফেল। শেষমেশ ঠেকল এসে দড়িতে। রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সিগন্যালে এখন দড়ির ব্যবহার বেড়েই চলছে। ট্রাফিক বিভাগ বলছে, দুর্ঘটনা ঠেকাতে ও যানজট কমাতে এ ব্যবস্থা।
রাজধানীর বিজয় সরণির দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে সিগন্যাল পড়লেই দড়ি বাঁধা হয়। স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় এই দড়ি পড়ে না। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ নিজ হাতে দড়ি বাঁধা ও খোলার কাজ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয় সরণিতে দেখা যায়, ফার্মগেট থেকে যাওয়ার দক্ষিণ সিগন্যালে অনেকগুলো মোটরসাইকেল দাঁড়ানো। পেছনে অন্যান্য যানবাহন।
এসআই সেলিম আহমেদ তখন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করছিলেন। তিনি বলেন, মূলত মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণের জন্য দড়ি লাগানো হয়। অফিস শুরু ও শেষের সময়টাতে যানবাহনের প্রচুর চাপ থাকে। কিন্তু মোটরসাইকেলগুলো ট্রাফিক পুলিশকে ছাড়িয়ে বেশ কিছু দূর সামনে চলে যায়। আর সুযোগ পেলে সিগন্যালও অতিক্রম করে। দুর্ঘটনাও ঘটে। দড়ি দিয়ে বেঁধে দিলে তা হয় না।
রাজধানীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সিগন্যালে এখন দড়ির ব্যবহার বেড়েই চলছে। ছবি: প্রথম আলোপান্থপথ সিগন্যালেও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে দড়ির সাহায্যে। এখানে অবশ্য অন্য যানবাহনের সঙ্গে মোটরসাইকেল ও রিকশা সমানে চলে। কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ আরফান বলেন, ‘দড়ি না দিলে কোনোভাবেই থামানো যায় না। রিকশা টান দিলেও দৌড়ায়া ধরা যায়, কিন্তু মোটরসাইকেলের সাথে পারা যায় না।’ তিনি আরও বলেন, এ সিগন্যালে কোনো একটি বাহন সিগন্যাল অমান্য করলে বাকি তিন সিগন্যালে জট লেগে যায়।
ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের উপ-কমিশনার লিটন কুমার সাহা এ দড়ি ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নাইলনের দড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাঁরা রঙিন দড়ি বাঁধেন। এতে দূর থেকে দেখা যায়। রং উঠে গেলে আবার নতুন করে দড়ি লাগানো হয়। তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ পদ্ধতি চালু হয়েছে। অটো সিগন্যাল ব্যবস্থা চালু হলে এটা বন্ধ হয়ে যাবে।