ক্রিকেট : বাংলাদেশের টেষ্ট ক্রিকেট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম টেষ্ট খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা রওনা হওয়ার প্রক্কালে দেশ বাসিকে উচ্চাভিলাষী সপ্নের বাণী শুনিয়ে গেছেন। সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় তিনি বলেছেন, অবশ্যই আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে টেষ্ট ক্রিকেটে ভাল করবো।
টেষ্টে ইদানিং কয়েকটা দেশের সাথে ভাল খেলে আমরা সিরিজ ড্র করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের খেলোয়ারদের মনোবল এখন তুঙ্গে। একদিনের (৫০ ওভার) খেলায় বিশ্বের যে কোন দল এখন আমাদের সমিহোর চোখে দেখে, তেমনি টেস্টে ও সমিহ করে। বিশ্বের বড় বড় দল গুলি এখন আমাদের সাথে টেস্ট খেলতে আগ্রহী। আমাদের প্রধান খেলোয়ার অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান না থাকায় আমরা কিছুটা দূর্বল তবু ও আমাদের প্রতেকটা খেলোয়ার ভীষন উজ্জীবিত । তারা ভালো খেলেই ওর (সাকিব) অভাব বুঝতে দিবেনা।
উইকেট আর কন্ডিশন শতভাগ বিপরীত। দক্ষিণ আফ্রিকা যদি মুদ্রার এপিট হয় তবে বাংলাদেশ অন্যপিট। বাংলাদেশের কন্ডিশন আর উইকেট সম্পূর্ণ স্পিনসহায়ক। শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশের চিত্রটা প্রায় একই। দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেট খেলা হয় গতিময় -বাউন্সি উইকেটে, সেখানে গিয়ে তাই বরাবরই ধুকতে দেখা যায় ভারত, পাকিস্বান ও শ্রীলংকার মতো এই অঞ্চলের পরাশক্তি দলগুলোকে। সেই দক্ষিণ আফ্রিকায় গিয়ে বাংলাদেশ বিজয়লাভ করবে এমন সপ্নকে যে কেউ উচ্চাভিলাষী বলেই আখ্যা দিবেন, এটইতো স্বাভাবিক। তবে এরপর ও শনিবার দেশ ছাড়ার আগে এমন সপ্নই দেখিয়ে গেলেন টাইগারদের টেষ্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশ টাইগার টিম দুটো টেষ্ট, তিনটি ওয়ানডে আর দুটো টি২০ সিরিজ ম্যাচ খেলতে এখন দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় ময়দানি লড়াইয়ের শুরুটা যেহেতু টেষ্ট সিরিজ দিয়ে , তাই টেষ্ট দলে থাকা খেলোয়ারুরাই আগে চলে গেলেন সেখানে। ওয়ানডে আর টি২০ দলে থাকা খেলোয়াররা জাবেন অক্টোবারের প্রথম সপ্তাহে। ওপেনার তামিম ইকবাল অবশ্য জাননি, তিনি জাবেন আজ।
মুশফিকের সাথে শুধু গেছেন পেস বোলিং কোচ কার্টনি ওয়ালাশ। মুশফিক বললেন দক্ষণি আফ্রকিায় জেতার জন্য দরকার প্রচন্ড আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় মনোবল। মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে যে আমরা দক্ষণি আফ্রকিাকে হারাতে পারি, তাহলেই আমরা কামিয়াব হবো।