সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ বলেছেন, তাঁর দেশ মধ্যপন্থী ইসলামের পথে ফিরে যাবে। সৌদি আরব আগে এই আদর্শেই পরিচালিত হতো এবং সব ধর্ম ও পুরো বিশ্বের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
রিয়াদে গত মঙ্গলবার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ সম্মেলনে সৌদি যুবরাজ এই প্রতিশ্রুতি দেন। কট্টরপন্থা মোকাবিলায় সৌদি আরব আরও কিছু করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কট্টরপন্থী আদর্শের সঙ্গে যুঝতে গিয়ে জীবনের ৩০টা বছর সময় আমরা নষ্ট করব না আর।’ ব্যবসায়িক সংবাদ পরিবেশনকারী মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের মারিয়া বারতিরোমোর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। যুবরাজ আরও বলেন, ‘আমরা খুব শিগগির কট্টরপন্থার অবসান ঘটাব।’
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে টুইন টাওয়ার হামলা হওয়ার পর থেকে মৌলবাদ ও সন্ত্রাস মোকাবিলা এবং সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে সুন্নি ইসলামের ওয়াহাবি মতাদর্শের রাজতন্ত্র সৌদি আরব। তবে সৌদি যুবরাজের সাম্প্রতিকতম প্রতিশ্রুতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে খুব একটা আশ্বস্ত করতে পারবে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকেরা। কারণ, দেশটিতে কট্টরপন্থী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা প্রচণ্ড ক্ষমতাধর এবং দেশজুড়ে তাঁর প্রভাব ব্যাপক।
চলতি বছরের শুরুর দিকে হঠাৎ করেই ৩২ বছর বয়সী যুবরাজ বিন সালমানকে সৌদি সিংহাসনের উত্তরাধিকার মনোনীত করেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল-সৌদ। অনেকেই তাঁকে আধুনিক সৌদি রাজতন্ত্রের মুখ বলে মনে করেন।