রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে স্বজনেরা আজ রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার পর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
হাসপাতাল সূত্রগুলো জানায়, গতকাল শনিবার রাতে পুরান ঢাকা থেকে নওশাদ আহমেদ নামের এক ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন। তাঁকে হাসপাতালের ভবন ২-এ নেওয়া হয়। পরে তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নওশাদ মারা যান। এরপর তাঁর স্বজনেরা ভবনটির তিনতলায় সিসিইউতে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর চড়াও হন। তাঁরা চিকিৎসকদের মারধর করেন। নার্সদেরও মারার জন্য তেড়ে যান। তাঁরা হাসপাতালের ওষুধ ও সরঞ্জাম রাখার ট্রলি উল্টে ফেলে দেন।
একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা ছুটে গেলে মৃতের স্বজনেরা তাঁদের ওপরও চড়াও হন। এরপর চিকিৎসকেরা ছুটে আসেন এবং হাসপাতালের সবগুলো ভবনের ফটক বন্ধ করে দেন। পরে অন্য ফটকগুলো খুলে দেওয়া হলেও জরুরি বিভাগের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
আজ বিকেলে হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, রোগীর স্বজনেরা বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের লোক বলে নিজেদের পরিচয় দেন। মৃত নওশাদের বাড়ি লালবাগের খাজে দেওয়ান এলাকায়। তাঁর লাশটি এখনো সিসিইউতে আছে। মৃত্যু সনদ এখনো কোনো চিকিৎসক লিখে দেননি।
খবর পেয়ে বিএমএর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বিকেলে হাসপাতালে যান। বিকেল পৌনে পাঁচটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক চলছিল।