ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং ও তার স্ত্রী

ভারতে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং ও তার স্ত্রী

তবে ‘এক চীন’ নীতি মানাটা বেজিংয়ের কূটনীতির এক কঠোর শর্ত – যে সব দেশ তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখাতেই চীন বিশ্বাস করে না।

এই পরিপ্রেক্ষিতেই চীনা রাষ্ট্রদূত সুন ওয়েডং জুলাই মাসে এক ওয়েবিনারে মন্তব্য করেন, “তাইওয়ান, হংকং বা দক্ষিণ চীন সাগরে সীমান্ত বিরোধ প্রশ্নে ভারতের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য জনমতকে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে – যা আমাকে উদ্বিগ্ন করেছে।”

গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতের একটি খবরের কাগজ এ দেশে নিযুক্ত তাইওয়ানের প্রতিনিধির (যাকে ‘রাষ্ট্রদূত’ বলা হয় না) এক সাক্ষাৎকার ছাপার পর চীনা দূতাবাস তারও তীব্র সমালোচনা করেছিল।

ভারতের সঙ্গে তাইওয়ানের এই মুহুর্তে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।

তবে দিল্লি ও তাইপেই-তে দুপক্ষেরই ‘বাণিজ্যিক কার্যালয়’ বা ট্রেড অফিস আছে, যা কার্যত পরস্পরের দূতাবাস হিসেবেই কাজ করে।

চীনা দূতাবাসের পাঠানো ওই চিঠির অংশবিশেষ

চীনা দূতাবাসের পাঠানো ওই চিঠির অংশবিশেষ

এদিকে চীনা দূতাবাসের চিঠি পাওয়ার পর ভারতের বড় বড় মিডিয়া হাউস বা সংবাদপত্র গোষ্ঠীগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বিবিসি জানতে পেরেছে, তাইওয়ানের জাতীয় দিবসে (১০ই অক্টোবর) এবার দিল্লির বিভিন্ন খবরের কাগজেই তাদের পাতাজোড়া বিজ্ঞাপন দেওয়ার বা বিজ্ঞাপনী ক্রোড়পত্র সংযুক্ত করার পরিকল্পনা ছিল।

কোভিড মহামারিতে আর্থিক সঙ্কটে থাকা সংবাদপত্র শিল্পের জন্য সেই বিজ্ঞাপন খুব প্রয়োজনীয় কোনও সন্দেহ নেই।

অন্য দিকে, চীনের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করলে ভারতে সক্রিয় নানা মোবাইল ফোন-সহ চীনা কোম্পানিগুলোর বিজ্ঞাপন তাদের হারাতে হতে পারে, এটাও মিডিয়া হাউসগুলোকে খেয়াল রাখতে হচ্ছে।