বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ৫২ জন শ্রমিক মারা গিয়েছে ।বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক দেবাশিষ বর্ধন দুপুর সোয়া দুইটা নাগাদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, “৫২টি মরদেহ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, ঘটনাস্থলে এখনও উদ্ধারকাজ চলছে।
মি. দেবাশিষ বর্ধন আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
তিনি জানান, মরদেহগুলো ভবনটির চতুর্থ তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা না যাওয়ায় পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় উদ্ধারকাজ পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।ওদিকে শ্রমিক এবং তাদের স্বজন ছাড়াও দমকল বাহিনীর সূত্রে বলা হচ্ছে, কারখানা ভবনের চারতলায় ছাদে ওঠার সিঁড়ির মুখের দরজাটি তালা বন্ধ থাকায় অনেক মানুষ ছাদে উঠে প্রাণরক্ষা করতে পারেননি। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে রূপগঞ্জের যে কারখানায়, সেই কারখানাটির নাম হাসেম ফুডস। এটি সজীব গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান।
কারখানাটির ভবনের চারতলায় তালাবদ্ধ থাকায় এবং অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র না থাকার যে অভিযোগ করেছে ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় প্রশাসন, সে ব্যাপারে সজীব গ্রুপের মালিক এম. এ. হাসেমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের কারখানায় আগুন লাগে।এদিকে ৬ তলা ভবনের চারতলায় বিস্কুটের কারখানায় সকাল থেকে কাজ করছিলেন ৪৭ নারী শ্রমিক। বিকেলে আগুন লাগার পর ভেতর থেকে শ্রমিকদের কাজ করতে তালা ঝুলিয়ে দেয়ায় কেউ বের হতে পারেনি বলে অভিযোগ স্বজনদের। নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, সন্ধ্যারপর থেকে কারো সাথে কোন যোগাযোগ নেই।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ফ্যাক্টরির ছয়তলা বিশিষ্ট ভবনের তৃতীয় তলা থেকে গ্যাস লাইন লিকেজ কিংবা বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা ভবনের সকল ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ফ্যাক্টরির কাঁচামাল, উৎপাদিত পণ্য ও মূল্যবান সামগ্রীসহ বিপুল পরিমাণ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। খবর পেয়ে কাঞ্চন, পূর্বাচল, ডেমরা, আড়াইহাজার, আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ১৭ ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।