ইটস কামিং হোম, না গোয়িং রোম- দুই দলের ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পরই বাক্যটা ফুটবলপ্রেমীদের মুখে মুখে।১৯৬৮ সালের পর দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইতালি।ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ। ইতালির বিপক্ষে ইউরোর ফাইনাল। ইংলিশদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শক। এমন টানটান উত্তেজনায় ম্যাচের শুরুতেই হোঁচট খেয়ে বসে ইতালি।
ম্যাচের দুই মিনিটের মধ্যেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড।লুক শ করলেন ইংল্যান্ডের হয়ে গোলটি।যা ইউরোর ফাইনালের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম গোল হিসাবে রের্কড ।আন্তর্জাতিক ফুটবলে এটাই ছিল তার প্রথম গোল ।এর আগে ১৯৬৪ সালে পেরেদা ৬ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন।
ম্যাচের ৬৭ মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ইতালিকে সমতায় ফিরিয়ে আনেন অভিজ্ঞ ফুটবলার লিওনার্দো বোনুচ্চি। ইনসিগনের নেয়া কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলটিকে হেড করেন ভেরাত্তি। ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ড সেটিকে ফেরানোর চেষ্টা করলেও সাইড বারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলটি থেকে আলতো শটে ইংল্যান্ডের জালে গোল দেয় বোনুচ্চি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ ব্যবধানে সমতায় থাকায় ইউরোর ফাইনাল গড়ালো অতিরিক্ত সময়ে।অতিরিক্ত সময়েও ড্র হওয়ায় খেলার ভাগ্য নির্ধারনের জন্য পেনাল্টিতে যায় রেফারি ।টাইব্রেকারে ২-৩ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ৫৩ বছর পর শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে রবার্তো মানচিনির ইতালি। এ নিয়ে টানা ৩৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ল ইতালি। এবার আজ্জুরিদের নেতৃত্ব দিলেন ডিফেন্ডার জর্জিও কিয়েলিনি। চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ১৯৩৪, ১৯৩৮, ১৯৮২ ও ২০০৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছে ইতালি।এছাড়াও ২০০২ ও ২০১২ সালে ইউরোর এবং ১৯৭০ ও ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে তারা।