পেয়ারা হচ্ছে এমন এক ফল যা সহজলভ্য এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ। এই ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন, ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ফাইবার, যা শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। দেখে নেওয়া যাক পেয়ারার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে-
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক পেয়ারা। তার সঙ্গে কমায় ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রাও। যার ফলে হ্রাস পায় হৃদরোগে ঝুঁকি এবং সুস্থ থাকে হার্ট।
ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যাকেও দূর করে দেয় এই ফল। তার সঙ্গে হজমে সহায়তা করে পেয়ারা।
পেয়ারার মধ্যে বেশি পরিমাণ ফাইবার এবং কম পরিমাণ ক্যালোরি থাকায় ওজন কমে দ্রুত।
পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ক্যান্সারের কোষকে বৃদ্ধি হতে দেয় না এবং শরীরে গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
যেহেতু পেয়ারার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন, সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ক্ষেত্রেও সহায়ক এই ফল।
দেশি ফলগুলোর মধ্যে পেয়ারা বেশ পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি ফল। সাধারণ এবং সহজলভ্য এই ফলটির পুষ্টিগুণ অনেক। পেয়ারা ভর্তা, পেয়ারা জেলি নানভাবে খাওয়া যায় মজাদার এই ফলটি। শুধু ফল নয়, পেয়ারা পাতায়ও রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ।
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে পেয়ারা পাতাও বেশ কার্যকর। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তার পর ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন। পেয়ারা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এর পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখুন।