বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশনসংলগ্ন এলাকায় প্রায় চার লাখ বর্গফুট খোলা জায়গা ইজারা নিয়ে ব্যবহার করছে টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন লিমিটেড।
২০০২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এসব জমির লাইসেন্স ফি বাবদ ১৬৬ কোটি টাকা বকেয়া পড়েছে যদিও মামলা জটিলতার কারণে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে বকেয়া আদায় করতে পারছে না রেলওয়ে।
বিভাগীয় শহর এলাকায় প্রতি বর্গফুট জমির ইজারা নিতে হলে মোবাইল ফোন কোম্পানি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে বার্ষিক ৩৩৫ টাকা লাইসেন্স ফি দিতে হয়। জেলা শহরের ক্ষেত্রে প্রতি বর্গফুট জায়গার জন্য এর ফির পরিমাণ ২২৩ টাকা। এ লাইসেন্স প্রতি বছর নবায়ন করতে হয়।
বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য বলছে, ২০২২ সালে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ৭৫টি স্টেশনের ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২০ বর্গফুট জমি ইজারা নেয় গ্রামীণফোন লিমিটেড।
এ পরিমাণ জমির বিপরীতে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স ফি বাবদ বকেয়া পড়েছে ৭৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। সময়মতো বকেয়া পরিশোধ না হওয়ায় জরিমানার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আর ভ্যাট ও উৎসে আয়কর ধরা হয়েছে ৮ কোটি টাকা। সবমিলে পূর্বাঞ্চল রেলওয়েতে গ্রামীণফোনের বকেয়ার পরিমাণ ৯৬ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা।
অন্যদিকে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের ইজারা বাবদ গ্রামীণফোনের কাছে আদায়যোগ্য বকেয়ার হিসাবই করেনি রেলওয়ে।
কিন্তু গ্রামীণ ২০০২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বর্ধিত ফি দিতে রাজি হচ্ছে না। এ নিয়ে আদালতে এখনো মামলা চলমান থাকায় ২০০২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে বকেয়া আদায় করা সম্ভব হয়নি।’
২০২১ সাল থেকে গ্রামীণফোনের কাছ থেকে লাইসেন্স ফি আদায় শুরু হয়েছে। তবে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বকেয়া লাইসেন্স ফি আদায় করা সম্ভব হয়নি। মূলত চলমান মামলার জন্যই টাকা অনাদায়ী রয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য বলছে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে ২০০২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স ফি বাবদ গ্রামীণফোনের বকেয়া রয়েছে ৩৭ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আর ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বকেয়ার পরিমাণ ৩২ কোটি ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।