আজ মুশফিক নামার আগেই ম্যাচের ভাগ্য লেখা হয়ে গেছে। ছবি: প্রথম আলোঢাকা টেস্টের ধারাবাহিকতা চট্টগ্রামে ধরে রাখা যায়নি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজটা ১-১ ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে। যদিও এই সিরিজে বাংলাদেশের প্রাপ্তি নেহাত কম নয়। তবে চট্টগ্রামে যেভাবে ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ, সেটি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে হঠাৎ ব্যাটিং অর্ডারে অদল-বদল নিয়েই হয়েছে বেশি প্রশ্ন।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম বললেন, ‘ডান-বাঁ হাতি সমন্বয়ের জন্য এটা করা। আমরা চেষ্টা করি আমাদের ব্যাটসম্যান অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে। তবে হ্যাঁ, যারা ওই সময় খেলেছে (বদল হওয়া পজিশনে) তারা ভালো খেললে হয়তো টেস্ট অন্য রকম হতে পারত। সত্যি বলতে আমরা সেরাটাই দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের দুর্ভাগ্য।’ তবু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, দলে যে সাতজন বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান সেটা কি চতুর্থ দিনের আগে টের পাননি কোচ-অধিনায়ক!
এ ছাড়াও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে, চারে নামা ব্যাটসম্যানকে দেখে। টেস্টে চারে খেলার যাঁর যথেষ্ট অভিজ্ঞতা ছিল, সেই মুমিনুলকে না নামিয়ে নামানো হয়েছে নাসিরকে। প্রথম ইনিংসেও ভালো খেলার ইঙ্গিত দেওয়া মুমিনুলকে আটে নামানো কতটা যৌক্তিক সিদ্ধান্ত? বিশেষ করে চারে নেমে ১৮ ইনিংসে ৫টি ফিফটি ও ৩টি সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল। মুশফিকের কথা, ‘যদি দেখেন গত কয়েক টেস্টে নম্বর চারে খেলার ওই রকম বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান আমাদের নেই। সাব্বির কিছু ম্যাচে খেলেছে। ওই পজিশনে আমরা যতটা আশা করেছিলাম, ততটা ওর কাছ থেকে পাচ্ছিলাম না। আগের ইনিংসে সাব্বির সাতে ভালো করেছে। সাকিব সব সময়ই পাঁচে খেলে। নম্বর তিনে মুমিনুল অনেকবার খেলেছে। ওপেনিংয়ে খেলার মতো তিনজন আছে। জায়গাটা পরিবর্তন করা তাই কঠিন হয়ে যায়। আমরা ভেবেছিলাম, মাঝে যদি একজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান থাকে, তাহলে ওদের একটু সমস্যায় ফেলা সম্ভব হবে।’
সমস্যায় যদি ফেলতেই হয়, চারে সবচেয়ে সেরা বিকল্প হতে পারতেন মুশফিক নিজেই। তিনি কেন নামেননি? এ প্রশ্নের কোনো মনঃপূত উত্তর দিতে পারেননি অধিনায়ক, ‘শুধু আমি কেন, যে কারও জন্য এমন অবস্থায় খেলা যথার্থ নয়। যেটা বললাম, কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল এটা। আমার কথা যদি বলেন, ১২০ ওভার কিপিং করে আবার চারে নামতে হয় তাহলে বলব এটা কারও একার দায়িত্ব নয়। টেস্টে এমনটা হতে পারে না যে আপনি আগে ব্যাটিং করলে চারে খেলবেন কিংবা পরে ব্যাটিং করলে ছয়ে খেলবেন। বিশ্ব ক্রিকেটে এমনটা কমই দেখা যায়।’