রোহিঙ্গা লোকজনকে আশ্রয় দেওয়া ক্যাম্পগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। ধারণক্ষমতার চেয়ে শরণার্থী অনেক বেশি হওয়ায় শিবিরগুলোতে এখন হাঁসফাঁস অবস্থা। রাখাইন রাজ্য থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা ঠেকাতে মিয়ানমারের সহিংসতার মূল কারণ উদঘাটন করার জরুরি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
মিয়ানমারের রাখাইনে নতুন করে সহিংসতা শুরুর পর গত দুই সপ্তাহে ২ লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র দুনিয়া আসলাম খান আজ শুক্রবার জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
ইউএনএইচসিআরের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সহিংসতার কারণে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসার ঘটনা বেড়েছে। রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা ঠেকাতে ও নিরাপদে তাদের ফিরে যাওয়ার পথ করে দিতে সহিংসতার মূল কারণ খোঁজার বিষয়ে পদক্ষেপ জরুরি।
ইউএনএইচসিআরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের জন্য যে সীমিত আশ্রয় সক্ষমতা তৈরি করা হয়েছিল, তা ভয়াবহ রূপ নিতে শুরু করেছে। উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় শরণার্থীরা রাস্তা ও খালি জমিতে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিচ্ছে। কক্সবাজারের দুটি শরণার্থীশিবিরে ৩৪ হাজারের মতো রোহিঙ্গা থাকে। গত দুই সপ্তাহে সেখানে দ্বিগুণের বেশি রোহিঙ্গা থাকতে শুরু করেছে। জরুরি আশ্রয় ও জায়গা দরকার হয়ে পড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের রাজ্যহীন মুসলমান সংখ্যালঘু, যারা কয়েক দশক ধরে বৈষম্য ও চরম দারিদ্র্যের শিকার। তাদের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা, শিক্ষাসহ অন্যান্য কাজ, সামাজিক, নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা এখন আরও ঝুঁকির মুখে এবং সমাধান খোঁজার আরও চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে তুলছে। পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু ও নারী। তারা ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত অবস্থায় আশ্রয়ের আশায় পৌঁছাচ্ছে।