নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ের সময় বাংলাদেশ সরকারের উদারতার এবং আক্রান্ত জনগোষ্টীকে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে এবার বার্মার রাখাইন রাজ্যে সংগঠিত সহিংস আক্রমণ ও গনহারে গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ারমতো মারাত্মক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনায় শঙ্কাও প্রকাশ করেছে।
এই অবস্থায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জরুরি সহায়তা প্রদাণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অংশীদারদের সাথে নিবিড় সমন্বয় অব্যাহত রেখেছে বলে জানিয়েছে। তারা যাদের সঙ্গে সমন্বয় করছে এবং যোগাযোগ রক্ষা করছে এরমধ্যে রয়েছে ইউএন হাইকমিশন ফর রিফিউজিস, দ্যা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন। যুক্তরাষ্ট্র গত একবছরে এই অঞ্চলে বার্মায় এবং সেখান থেকে বাস্তহারা হওয়া ঝুঁিকপূর্ণ সম্প্রদায়ের জন্য
ছয় কোটি ত্রিশ লাখ ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে বলে জানিয়েছে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয় প্রদান প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নেওয়ার্ট এর বক্তব্য তুলে ধরে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হিদার নেওয়াট বলেছেন, ২৫ আগষ্ট থেকে বার্মার রাখাইন রাজ্যে সংগঠিত সহিংস আক্রমণ ও গনহারে গ্রাম পুড়িয়ে দেয়ারমতো মারাতœক মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে ৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের তথ্যমতে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের ঘটনায় আমরা শঙ্কিত।
তিনি আরও বলেছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের জরুরি সহায়তা প্রদাণের ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারদের সাথে নিবিড় সমন্বয় অব্যাহত রেখেছি। যাদের মধ্যে রয়েছে ইউএন হাইকমিশন ফর রিফিউজিস, দ্যা ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস ও দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন। অক্টোবর ২০১৬ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই অঞ্চলে বার্মায়, এবং সেখান থেকে বাস্তহারা হওয়া ঝুঁিকপূর্ণ সম্প্রদায়ের জন্য ছয় কোটি ত্রিশ লাখ ডলার মানবিক সহায়তা দিয়েছে। তিনি বলেছেন, এই মানবিক বিপর্যয়ের সময় বাংলাদেশ সরকারের উদারতার এবং আক্রান্ত জনগোষ্টীকে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার অব্যাহত প্রচেষ্টার জন্য আমরা তাদের প্রশংসা করি।