চালের দাম প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে সবজির দামও। রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো ঘুরে দেখা যায় শিম, পটোল, করলা, ধুন্দল, ঢেঁড়স ও বেগুনসহ সব সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল ও সবজির দাম আরো বাড়বে।
গতকাল রাজধানীর বেশ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটা-চিকন সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে নাজিরশাইল, মিনিকেট, আটাশসহ সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত।
নাজির ও মিনিকেট চালের দাম ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। লতা চালের দাম ৫০ থেকে ৫১ টাকা। আটাশ চালের দাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। স্বর্ণা চালের চালের দাম ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। জিরা শাইল চালের দাম ৫৯ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে।
এদিকে কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি শিম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশিতে অর্থাৎ ৯০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যে ঢেঁড়স গত সপ্তাহে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে সেটা এখন ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শসার দামও ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে বেগুন, বরবটি, করলা, টমেটো আগের সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। করলা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। বরবটি ও ঝিঙ্গাও প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকায়।
দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা পণ্যেরও। কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১১০ টাকা এবং আমদানি করা রসুন ১০০ টাকা থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম কমায় ৪৫ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের খুচরা বিক্রেতা মামুন মিয়া বলেন পাইকাররা দাম বাড়ালে আমরা কম দামে বেচতে পারি না। একই বাজারের পাইকারি চাল বিক্রেতা কাসেম ব্যাপারী চালের বাজার এমন অবস্থা হওয়ার জন্য মিল মালিকদের দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘যেই হারে চাল আমদানি করা দরকার সেই হারে আমদানি হচ্ছে না। যেভাবে দাম বাড়ছে এতে কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।’
এদিকে, ভারত সরকার বাংলাদেশে চাল রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বরের পর ভারত থেকে চাল রফতানি হবে না। এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা মঙ্গলবার ভারতের পেট্রাপোল কাস্টমসে এসে পৌঁছেছে।
তবে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ তথ্য সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। মন্ত্রী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশে চাল রফতানি অব্যাহত রাখবে। অপরদিকে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, চালের দাম ৭০-৮০ টাকা কেজি করার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।
সবজি এবং চালের বাজার চড়া হলেও স্বস্তির খবর রয়েছে ইলিশ ও মুরগির বাজারে। সরবরাহ বাড়ায় এক কেজি ওজনের এক হালি ইলিশের দামে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা কমেছে। কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা কমে প্রতিকেজি বয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
