প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে নিজের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপানোর দরকার হয় না। কিন্তু অন্য কেউ যদি তার দোষ আপনার ঘাড়ে না চাপিয়ে দেয় তার কৌশল জানতে হবে। যারা ‘মনে হয়, যদি, হয়তো ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করে তাদের থেকে দূরে থাকুন। তারা সুযোগ মতো পেছলে যায় বা আগলে ধরে।’
আপনার কাজের সীমানা নির্ধারণ করুন। আপনার কাজ কী তা যেমন স্পষ্ট হওয়া দরকার একইভাবে কোনো কোনো ক্ষেত্র আপনার কাজের জন্য নয় তাও উল্লেখ থাকা দরকার। নিজ উদ্যোগী হয়েই আপনি কাজ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নিয়ে নিন।
আপনার BOSS এর অনুমতি ছাড়া কখনোই সীমানার বাইরে গিয়ে কাজ করবেন না। যদি প্রয়োজনে, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে তা করতে হয়, আপনার বসের অনুমতি নিয়ে নিন।
প্রতিদিন আপনার কাজের প্রতিবেদন লিখুন। এই কাজটি অন্যান্য সাধারণ কাজ। কাজটি করতে দশ মিনিটি সময় লাগে না কিন্তু ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। কিন্তু কাজটি একবার অভ্যাসে পরিণত করতে পারলে আপনাকে মারাত্মক সব বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।
বুদ্ধি করে আপানার কাজের একটি ফরম্যাট তৈরি করে রাখলে কাজটি করা সহজ হয়ে যায়। এ বিষয়টি কঠিন নয় আপনি সারা দিন যা যা করছেন তার হিসেবে রাখা শুধু। অন্য কেউ দোষ চাপাতে চাইলে প্রতিবেদন আপনাকে তথ্য দিয়ে দারুণ সহায়তা করবে।
প্রতিদিন আপনি যে কাজগুলো করেন বা দরকার বলে মনে করেন তার একটি চেক লিস্ট তৈরি করুন। প্রতিদিন অফিস শেষে যে কাজগুলো করেছেন তার পাশে টিকচিহ্ন দিন যে কাজগুলো করেননি তার পাশে টিকচিহ্ন দিন। এতে ভুলবশত কোনো কাজ এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ কম।
আপনার কাজের ধরন ও ক্ষেত্র বুঝে কে কে আপনার ওপর দোষ চাপাতে পারেন তার একটি তালিকা তৈরি করুন এবং এটি গোপনে করাই ভালো। এদের সঙ্গে কাজ করার সময় বা কথা বলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন।
কোনো নথি গ্রহণ করতে বা প্রদান করতে রেজিস্ট্রেশন মেনে চলুন। তা হলে আপনাকে ফাঁদে ফেলা এত সহজ হবে না।
একা কাজ করার চেয়ে দলগত কাজ করার দোষ অন্যের কাঁধে পড়ে যাওয়া সহজ। দলগত কাজেও নিজের দায়িত্ব আলাদাভাবে বুঝে নিন।
সময়ে ধৈর্যের পরিচয় দিন। অন্যায়ভাবে আপনার ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়া হলে ঠাণ্ডা মাথায় শালীনভাবে তার
প্রতিবাদ করুন।
