আর্জেন্টিনার প্রতিটা জয়েই যেন মেসির অবদান ছাড়া হচ্ছেই না । আর্জেন্টিনা নানাভাবে গোলের চেষ্টা করবে, কিন্তু ব্যর্থ হবে। পরে সেই লিওনেল মেসিকেই কিছু না কিছু করতে হবে।এইটাই যেন আর্জেন্টিনার চির চেনা রুপ হয়ে দাড়িয়েছে ।কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালেও এর কোনো ব্যতিক্রম হয়নি।ইকুয়েডর ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে তিনটি গোলেই অবদান রাখে মেসি । প্রথম দুটি গোল সতীর্থকে দিয়ে করালেও পরের গোলটি করেছেন দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিকে ।
ফুটবল জাদুকর প্রথম গোলটি করান রদ্রিগো দি পল কে দিয়ে । যেটা চাইলে ওনি নিজেই করতে পারতেন । ফাঁকায় দাঁড়ানো দি পল এতটাই সময় পেলেন যে শট নেওয়ার আগে বলটা থামিয়ে একটু মঞ্চটা প্রস্তুতও করতে পারলেন। গোল!কারণ তখন প্রতি পক্ষের গোল কিপার ছিল না ।
৮৪ মিনিটের গোলে এতটা নাটকীয়তা ছিল না। ডি-বক্সের একদম বাইরে বল খোয়ান ইকুয়েডরের হিনচাপি। বলটা পেয়ে গেলেন মেসি। বক্সের অন্যদিকে থাকা মার্তিনেজের দিকে বল পাঠিয়ে দিলেন। এবারও সেই দৃশ্য। এতটা ফাঁকায় ছিলেন মার্তিনেজ যে বেশ সময় নিয়েই বল থামিয়ে গোলে শট নিলেন। ২-০ গোলে এগিয়ে গেল আর্জেন্টিনা।
আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলে চাইলে একটু হলেও দাবি রাখতে পারেন বদলি নামা আনহেল দি মারিয়া। হাজার হলেও প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে চাপে ফেলে বল আদায়ের কাজটা তিনিই করেছেন। তৃতীয় গোলেও পার্শ্ব চরিত্র দি মারিয়া। বল নিয়ে বিপজ্জনকভাবে বক্সে ঢুকে পড়ছিলেন পিএসজি উইঙ্গার। তাঁকে আটাকানোর জন্য ফাউল করে বসলেন দ্বিতীয় গোলের ভিলেন হিনচাপি।নানা নাটকীয়তায় লাল কার্ড দেখে হিনচাপি ।ফ্রি কিক পায় আর্জেটিনা । সেখান থেকে আবারো মেসি জাদু ।ফ্রি-কিক নিতে নিতে ৯৩ মিনিট। বক্সের একদম ওপর থেকে কিক নিলেন মেসি। বাঁকানো শটটি পোস্টের একদম কোনা ঘেষেঁ জালে ঢুকেছে। টুর্নামেন্টে মেসির চতুর্থ গোল ঠেকানোর কোনো উপায় ছিল না গালিন্দেজের।আর্জেন্টিনা আজ আরও বড় ব্যবধানে মাঠ ছাড়তে পারত। কিন্তু প্রথমার্ধে সুবর্ণ এক সুযোগ নষ্ট করেছেন গঞ্জালেস। অবশ্য মেসিও ফাঁকায় দাঁড়িয়ে পোস্টে লাগিয়েছেন বল। কিন্তু ম্যাচ শেষে এ নিয়ে হাপিত্যেশ করার কোনো কারণ রাখেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
সেমিফাইনালের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়াকে একটা বার্তাও দিয়ে রাখলেন খুদে জাদুকর ।