এখন থেকে এক ব্যাংকের গ্রাহক ঘরে বসে ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে আরেক ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন নিমিষেই।
প্রাথমিকভাবে একজন গ্রাহক প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ বার এবং সর্বমোট দুই লাখ টাকা লেনদেন করতে পারবেন। একবারে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পাঠানো যাবে।
এর মাধ্যমে ক্রেডিট কার্ডের বিল দেওয়া, ডিপিএসের মাসিক কিস্তি দেওয়া, ঋণের মাসিক কিস্তি দেওয়া, ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম দেওয়া সহজ, সাশ্রয়ী ও দ্রুততর হবে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) এর মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরফান আলী একে বাংলাদেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে একটি বড় ঘটনা হিসেবে দেখছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আগে টাকা পাঠানো যেত টি+২৪ অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। এখন টাকা চলে যাবে মিনিটেই।
“ঘরে বসেই যে কোনো গ্রাহক তার অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাঠাতে পারবেন।”
মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমেও এই অর্থ স্থানান্তর করা যাবে জানান আরফান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সুবিধা চালুর ফলে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে অ্যাকাউন্ট, অ্যাকাউন্ট থেকে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডে এবং ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড হতে অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে পারবে।
ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তঃব্যাংক ইলেক্ট্রনিক পেমেন্টকে সহজতর করার জন্য ২০১২ মালের ২৭ ডিসেম্বর এনপিএসবি কার্যক্রম শুরু হয়। শুরুতে আন্তঃব্যাংক এটিএম লেনদেনের মাধ্যমে এনপিএসবি যাত্রা শুরু করে এবং পরবর্তীতে আন্তঃব্যাংক পিওএস লেনদেন অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
বর্তমানে দেশে পেমেন্ট কার্ড ব্যবসা পরিচালনাকারী ৫৩টি ব্যাংকের মধ্যে ৫১টি ব্যাংক এনপিএসবি-এর সদস্য।
কার্ড পেমেন্ট ব্যবসার প্রসারে এনপিএসবি এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ফান্ড ট্রান্সফার সেবা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
স্মার্ট নিউজ টোয়েন্টিফোর